পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে জানান, তিতলি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যায় আঘাত হেনেছে। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) নগরজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাতসহ ঝরো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে নগরজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে সাগর উত্থাল থাকায় চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে জানান, তিতলি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যায় আঘাত হেনেছে। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) নগরজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাতসহ ঝরো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
তিনি জানান, সকাল ৯টা পর্যন্ত নগরে ২৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তিতলি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি
নগরে তিতলি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্যোগকালীন শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ দেয়া খুব জরুরি। কিন্তু আমাদের নগদ টাকার সংকট আছে। বিষয়টি মন্ত্রীকে জানিয়েছি। আশা করি, টাকা পেয়ে যাবো। ’
ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলায় ৪৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া আছে। যে কোনো প্রয়োজনে ১০৯০৪৩ নম্বরে কল এবং ৩৩৩ নম্বরে ম্যাসেজ দেওয়া যাবে। ’
সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ মোকাবিলায় ১ জন ডাক্তারসহ তিন সদস্যের ২৮৪টি টিম প্রস্তুত আছে। প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুম ০৩১-৬৩৪৮৪৩ এবং ০১৮১৬-০৩১১২১-এ যোগাযোগ করে দুর্যোগকালীন সহযোগিতা নেওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
জেইউ/এসি/টিসি