ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নতুনদের পদচারণায় মুখর সিআইইউ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
নতুনদের পদচারণায় মুখর সিআইইউ সিআইইউ ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনটা ভালোই কেটেছে নতুন শিক্ষার্থীদের

চট্টগ্রাম: শীতের সকালে মিষ্টি রোদের আলো তখনও ছড়িয়ে যায়নি। ক্যাম্পাসের করিডোর দিয়ে ঢুকতেই চার-পাঁচজনের জটলা। কারও পিঠে ব্যাগ, কারও হাতে ডায়েরি। বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে বেড়ে যায় ভিড়। মুখর হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।

চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউর) ২০১৯ সালের স্প্রিং সেমিস্টারের ক্লাস শুরুর প্রথম দিন রোববারের (১৩ জানুয়ারি) চিত্রটা ছিল ঠিক এমনই। তারুণ্যের পদচারণায় জমজমাট হয়ে ওঠে সবকটি অনুষদ ও বিভাগ।

ঘড়ির কাঁটা সকাল ৯টা বাজতেই নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা একজন-দু’জন করে আসতে থাকেন প্রিয় সিআইইউ ক্যাম্পাসে। শুরু হয় আলাপচারিতা।

ভেসে আসে ‘আমি ফয়সাল করিম। চিটাগং কলেজ থেকে এসেছি। ইচ্ছে আছে ভালো কিছু করার’ কিংবা ‘আব্বু-আম্মুর আশা ছিল ইংরেজি পড়বো। কিন্তু আমি বিবিএ ছাড়া চলতে পারিনা’-এমন সব কথাবার্তা।

সিআইইউর উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান। এই সময় তিনি তাদের সঙ্গে আলাপে মশগুল হয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবককে কাছে পেয়ে তাদের স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের বেশি করে পাঠ্য বইয়ে ডুবে থাকার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, যুগোপযুগী সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যায় পাশে থাকবে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেই শিক্ষার্থীরা দলবেধে নিজেদের স্কুল (অনুষদ) ও বিভাগগুলো খুঁজে নেন। লাজুকতা ভেঙে একধাপ সামনে এগিয়ে অনেকে সাহস নিয়ে সরাসরি চলে যান সিনিয়র শিক্ষকদের কক্ষে! কথা বলেন প্রাণখুলে। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ক্লাস রুটিন নিয়ে আলোচনা করেন কেউ কেউ।  

সিআইইউর লাইব্রেরি ও অ্যামেরিকান কর্ণারেও ছিল নতুনদের ভিড়। কফির চুমুকে আড্ডা জমে ওঠে ক্যান্টিনেও। এই সময় তাদের গাইতে শোনা যায় ‘ওরে নীল দরিয়া অথবা এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’সহ দারুণসব গান।

সিআইইউ কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে সিআইইউতে বিজনেস স্কুল, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স ও স্কুল অব ল প্রোগ্রামের অধীনে রয়েছে একাধিক সাবজেক্ট। রয়েছে স্কলারশীপ ও পড়ালেখার পাশাপাশি ক্যাম্পাস জবের দারুণ সুযোগ।

কেমন লাগছে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন? প্রশ্ন করতেই ঠোঁটের কোণে হাসি দিয়ে সাইফুল আলম নামের একজন ছাত্র বলেন, ভালো লাগছে। সবার সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। ক্যাম্পাসের পরিবেশটা চমৎকার। দারুণ কাটবে সামনের দিনগুলো।

নতুন বন্ধুদের সঙ্গে প্রথম দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে মোবাইলে সেলফি তুলছিলেন আইরিন সুলতানা। তিনি বলেন, মনের মতো কিছু বন্ধু পেয়েছি। ক্লাসের স্যারদেরও খুব পছন্দ হয়েছে। ভালো মানের শিক্ষা অর্জন করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে মেলে ধরতে চাই বিশ্বের বুকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।