ঢাকা, শনিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সব মানুষকে অভিন্ন সত্তা হিসেবে দেখতে হবে: ড. অনুপম সেন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
সব মানুষকে অভিন্ন সত্তা হিসেবে দেখতে হবে: ড. অনুপম সেন বাণী অর্চনায় বক্তব্য দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন।

চট্টগ্রাম: সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, সরস্বতীর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ঋগ্বেদে। জ্ঞান, সংগীত, শিল্পকলা, বুদ্ধি ও বিদ্যার দেবী হিসেবে তিনি পূজিত হন। বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশে এই পূজার প্রচলন রয়েছে। এ পূজার প্রকৃত অর্থ হলো- প্রকৃত জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষ যেন মানুষ হয়ে ওঠে, পৃথিবীকে করে তোলে শান্তিময়।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নগরের জিইসি মোড় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে ইউনিভার্সিটির বাণী অর্চনা পরিষদের উদ্যোগে বিদ্যা ও সুরের দেবী সরস্বতীর আরাধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে বলেন, রবীন্দ্রনাথ ব্রহ্মবাদী হলেও সরস্বতী বন্দনাকে তিনি জ্ঞানের বন্দনা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

তিনি সরস্বতীর বন্দনা করে অনেক কবিতা রচনা করেছেন। পাশ্চাত্যেও দেখা যায় অনেক বিখ্যাত কবি তাদের কবিতায় বিদ্যার দেবীর বন্দনা করেছেন, যেমন: মিল্টন, শেলী প্রমুখ।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, প্রতিটি ধর্মের মূল লক্ষ্য হলো ভালোবাসার জয় ঘোষণা করা, মানবতাবাদ প্রতিষ্ঠা করা। তিনি যারা জ্ঞান অর্জন করেন ও জ্ঞান অনুসারে চলেন, তাদেরকে প্রকৃত জ্ঞানী উল্লেখ করে বলেন, জ্ঞানের ভিত্তিই মানবতা। সেজন্য জ্ঞানীর চোখে মানুষের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই। আমাদের এই বিশ্বকে তাই বাস উপযোগী করতে হলে মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে হবে এবং বিশ্বের সব মানুষকে অভিন্ন সত্তা হিসেবে দেখতে হবে।

তিনি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রসঙ্গে বলেন, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বিশ্বাস করতেন সর্বধর্মের মূলবাণী বিশ্বশান্তি।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মিসেস হাসিনা মহিউদ্দিন ও বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহিন।

মিসেস হাসিনা মহিউদ্দিন তার বক্তব্যে ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ উল্লেখ করে বলেন, এই সরস্বতী বন্দনার দিনে আমার প্রত্যাশা, যুগে যুগে এই প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি থেকে শিক্ষার্থীরা অশেষ জ্ঞান অর্জন করে পৃথিবীর কল্যাণে নিয়োজিত হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর অমল ভূষণ নাগ, প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, প্রক্টর আহমদ রাজীব চৌধুরী, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার মনির, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান তানজিনা আলম চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাণী অর্চনা পরিষদের আহ্বায়ক ও সহকারী অধ্যাপক অনুপ কুমার বিশ্বাস।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।