শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সাকিট হাউজে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও জনসচেতনতা শীর্ষক প্রচার, প্রেস ব্রিফিং ও সেমিনারে অংশ নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইমরান আহমদ বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসী শ্রমিকরা র্যামিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৬ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, সরকার প্রবাসী শ্রমিকদের উপযুক্ত ও দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দেশের প্রতিটি উপজেলায় প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের জাপানিজ, কোরিয়ান, আরবি, ইংরেজি, ক্যান্টনিজ ভাষায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নারী কর্মীদের সুরক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কার করা হয়েছে। ৪০টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে হাউজ কিপিং কোর্সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে এ বছর ৫০ হাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
‘বাংলাদেশের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন তখন মানুষ ছিল সাড়ে সাত কোটি। এখন ষোলো কোটি। এই যে বিশাল জনসংখ্যা, এদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করতে হবে। তবেই জনসংখ্যা পরিণত হবে মানবসম্পদে। ’
অনুষ্ঠানে পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, অদক্ষতার জন্য বাংলাদেশের শ্রমিকরা বিদেশে উপযুক্ত মজুরি পান না। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কারিগরি জ্ঞান অর্জন করলে বিদেশে উপযুক্ত মজুরি পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, যারা টেকনিক্যাল টিচিং সেন্টারে (টিটিসি) প্রশিক্ষণ দেন, তারা সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন কিনা- তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। প্রশিক্ষকরা নিজে প্রশিক্ষিত কিনা তাও দেখার বিষয়।
কোনো দেশে শ্রমিক পাঠানোর আগে সে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে অনুরোধ জানান পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহম্মদ মনীরুছ সালেহীন, যুগ্মসচিব মোজাফফর আহমদ, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
এমআর/টিসি