ঢাকা, শনিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবিতে ৩ মাসে ৫ তদন্ত কমিটি, ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০
চবিতে ৩ মাসে ৫ তদন্ত কমিটি, ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার নিয়োগ পাওয়ার পর গত তিন মাসে বিভিন্ন ঘটনায় পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চবি প্রশাসনের দাবি, এসব প্রতিবেদন খুব শিগগিরই প্রকাশ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মানোন্নয়ন দেওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়ে নানা ঘটনা ও ভর্তি পরীক্ষার ত্রুটি খতিয়ে দেখতে ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কতৃপক্ষ। কমিটিতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরীকে আহবায়ক, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনকে সদস্য সচিব, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপক ড. ইকবাল আহমেদ ও সহকারী প্রক্টর ড. হানিফ মিয়াকে সদস্য করা হয়।

এ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর পৃথক তিনটি ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

৩০ নভেম্বর চবির শহীদ আবদুর রব হলে তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি, এক ডিসেম্বর হাটহাজারীর এগারমাইল এলাকায় দুই শিক্ষার্থীর ওপর দুর্বৃত্তের হামলা ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চারটি, প্রক্টরের একটি গাড়ি এবং জিরো পয়েন্টে ওয়াচটাওয়ার ভাঙচুরের ঘটনায় এ কমিটি গঠন করা হয়।

প্রায় সময় ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারামারির ঘটনা ঘটে।  যথারীতি তদন্ত কমিটিও গঠন করে প্রশাসন। কমিটিতে পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তীকে আহ্বায়ক, সহকারী প্রক্টর মো. আহসানুল কবীরকে সদস্য এবং তথ্য শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ হোসেনকে সচিব করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সর্বশেষ চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি পৃথক তিন ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রক্টরিয়াল বডির এক সভায় কমিটিগুলো গঠন করা হয়।

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি চবির প্রীতিলতা হলে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সহকারী প্রক্টর মুহাম্মাদ ইয়াকুবকে প্রধান, সহকারী প্রক্টর মরিয়ম ইসলাম লিজা ও প্রীতিলতা হলের সিনিয়র আবাসিক শিক্ষক ড. শ্রীকান্ত চৌধুরীকে সদস্য করা হয়।

ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয় ও সিএফসি গ্রুপের মারামারির ঘটনা তদন্তে সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবীর পলাশ ও এএইচএম জিয়াউল ইসলামকে সদস্য করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়।

এছাড়া ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন সিক্সটি নাইন ও আরএস গ্রুপের মারামারির ঘটনা তদন্তে সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব ও রিফাত রহমানকে সদস্য করে আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়। '

তদন্ত কমিটিগুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও ৫টি তদন্তের ৪টি এখনো ঝুলে আছে। তবে এবার পূর্বের সব ঘটনা ছাপিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে চবি প্রশাসন।

চবির প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের পর শোকজসহ কয়েকটি স্টেপ আমাদের দেখতে হয়। এছাড়া প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমাদের কিছু সময় প্রয়োজন। তবে আমরা সর্বশেষ যে তিনটি তদন্ত কমিটি করেছি এর প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এবার তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেবো।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারী ০১, ২০২০

এমএ/জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।