জানা গেছে, করোনা ভাইরাস শনাক্তে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দুই চিকিৎসকের স্থলে গত শুক্রবার থেকে আরও ৪ জন বাড়িয়ে মোট ৬ জন করা হয়েছে। প্রতিদিন দুই শিফটে চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫টি, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এ ৫টি এবং চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৪টি বেডের ব্যবস্থা রেখে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে এ ব্যাপারে আমরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। তিন হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট খোলাসহ বিমান বন্দরে বাড়ানো হয়েছে চিকিৎসকের সংখ্যা।
এদিকে, চীনে অধ্যয়নরত দুই বাংলাদেশি জ্বর অনুভব করলে তাদের বিআইটিআইডিতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
এ ব্যাপারে বিআইটিআইডি’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, চীনে অধ্যয়নরত দুই শিক্ষার্থী বাংলাদেশে ফিরে জ্বর অনুভব করায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে রোগীদের এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রক্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকায় জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে নমুনা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের যথোপযুক্ত প্রস্তুতি রয়েছে। হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটসহ চট্টগ্রামে প্রবেশ পথ বিশেষ করে বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দরে মেডিক্যাল ডেস্ক বসানো হয়েছে। বন্দর হাসপাতাল থেকে একটি সী অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাছাড়া বিমানবন্দরে আলাদা করে তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি