ঢাকা, শনিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সেই ‘ফিশ ফিড’ ফেরত যাচ্ছে বন্দর থেকে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০
সেই ‘ফিশ ফিড’ ফেরত যাচ্ছে বন্দর থেকে

চট্টগ্রাম: ফিশ ফিড বা মাছের খাদ্য ঘোষণায় আনা পণ্যে মিট অ্যান্ড বোন মিলের অস্তিত্ব পাওয়ায় আটক ৩৭টি চালান পুনঃরফতানির (ফেরত পাঠানো) উদ্যোগ নিচ্ছেন আমদানিকারকেরা।  

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ‘ফিশ ফিড’ ঘোষণায় আনা পশুখাদ্যের ৩৭টি চালানের নমুনার রাসায়নিক পরীক্ষায় মিট অ্যান্ড বোন মিলের অস্তিত্ব পাওয়ার পর কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ খালাস কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলো। এ ধরনের পণ্য আমদানি বাংলাদেশ সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলো।

সূত্র জানায়, খামারের মাছ ও মুরগি দ্রুত বড় করার জন্য অনেক দেশে গবাদি পশুর চামড়া, হাড় ও শূকরের উচ্ছিষ্টাংশ (মিট অ্যান্ড বোন মিল) খাওয়ানো হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ফিশ ফিড ঘোষণা দিয়ে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ও আমদানি নিষিদ্ধ উপকরণযুক্ত কিছু চালান খালাসের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি আমরা।

বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সর্বশেষ কিছু আমদানিকারক সংশ্লিষ্ট দেশে চালানগুলো পুনঃরফতানির উদ্যোগ নিয়েছেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পুনঃরফতানির ক্ষেত্রে আমদানি ঋণপত্রের (এলসি) টাকা ফেরত আসা, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনসহ কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে। এগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে এমন ৫-৭টি চালান পুনঃরফতানির আবেদনপত্র পেয়েছি আমরা। যারা পুনঃরফতানি করতে ব্যর্থ হবে সেগুলো কাস্টম আইন ও বিধি অনুযায়ী ধ্বংস করা হতে পারে।                 

সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩ জন আমদানিকারক ৩৭টি চালানে ৮ হাজার টনের বেশি ফিশ ফিড নিয়ে আসেন চট্টগ্রাম বন্দরে। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, বেলজিয়াম, শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসব পশুখাদ্য আসে। কাস্টম হাউসের নিজস্ব রাসায়নিক পরীক্ষাগার ছাড়াও আমদানিকারকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নগরের খুলশীর সিভাসুর পোল্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার, ঢাকার আইসিডিডিআরবি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও বিসিএসআইআরে কিছু চালানের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যাতে মিট অ্যান্ড বোন মিলের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।    

কাস্টম হাউস কমিশনারের কাছে পুনঃরফতানির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে চট্টগ্রাম ম্যাগনিফাই অ্যাগ্রো লিমিটেড, ফিশটেক বিডি লিমিটেড, অ্যাডভান্স অ্যাগ্রোটেক বাংলাদেশ, ভিএনএফ অ্যাগ্রো লিমিটেড, অ্যাকোয়াটেক অ্যাগ্রো বিডি লিমিটেড প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়:  ১৯২৮ ঘণ্টা,  ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।