তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঘণ্টাখানেকের মধ্যে জ্বলে ছাই পুরো বস্তি। তখনও প্রায় অন্ধকার।
পাকিস্তান আমল থেকে এ বস্তিতে বাস করা ভগবতী তার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ঝুপড়ি ঘরে। মা মেয়ের সংসারে উপার্জনক্ষম কেউ নেই বলে ভিক্ষা করে সংসার চালায় মেয়েটা। মেয়ের বয়সও প্রায় ষাট ছুঁই ছুঁই। মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু আগুনে পুড়ে যাওয়ায় অনেকটা নির্বাক তারা।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে নগরের মাঝিরঘাটে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে চারদিকে পোড়া জিনিস পত্রের স্তুপ। বস্তির লোকজন তেমন কিছুই বের করতে পারেন নি ঘর থেকে। পুরো বস্তির প্রায় শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই। খেটে খাওয়া মানুষগুলোর আশ্রয় ছিল এই বস্তি। তাদের আহাজারি ছাড়া যেন কিছু করার নেই। সহায় সম্বল হারিয়ে একেবারেই পথে বসেছেন।
আগুনে সহায় সম্বল হারানো মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কোনো কিছুই বের করতে পারিনি। সব শেষ হয়ে গেছে। হঠাৎ করে এমন আগুন লাগবে ভাবতে পারিনি।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক ফরিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, এখনো পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায় নি। আমরা সবকিছু যাচাই শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারবো।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি