ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ওদের মাথা গোঁজার ঠাঁই কেড়ে নিল আগুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০
ওদের মাথা গোঁজার ঠাঁই কেড়ে নিল আগুন মাথা গোঁজার ঠাঁই কেড়ে নিল আগুন। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: খোলা আকাশের নীচে চেয়ারে বসে শেষ সম্বল হিসেবে পাওয়া ছোট্ট একটি পুটলি পাহারা দিচ্ছিলেন নব্বই বছরের ভগবতী দেবী। তেমন একটা কথা বলতে পারেন না। তবে ভোর রাতে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মনে আছে তার। বর্ণনা দিচ্ছিলেন ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডের।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঘণ্টাখানেকের মধ্যে জ্বলে ছাই পুরো বস্তি। তখনও প্রায় অন্ধকার।

কোনো একজন আমাকে কোলে করে নিয়ে রেখে এসেছে। এমন ভয়াবহ আগুন আগে দেখিনি।

পাকিস্তান আমল থেকে এ বস্তিতে বাস করা ভগবতী তার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ঝুপড়ি ঘরে। মা মেয়ের সংসারে উপার্জনক্ষম কেউ নেই বলে ভিক্ষা করে সংসার চালায় মেয়েটা। মেয়ের বয়সও প্রায় ষাট ছুঁই ছুঁই। মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু আগুনে পুড়ে যাওয়ায় অনেকটা নির্বাক তারা।

মাথা গোঁজার ঠাঁই কেড়ে নিল আগুন।  ছবি: বাংলানিউজসোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে নগরের মাঝিরঘাটে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে চারদিকে পোড়া জিনিস পত্রের স্তুপ। বস্তির লোকজন তেমন কিছুই বের করতে পারেন নি ঘর থেকে। পুরো বস্তির প্রায় শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই। খেটে খাওয়া মানুষগুলোর আশ্রয় ছিল এই বস্তি। তাদের আহাজারি ছাড়া যেন কিছু করার নেই। সহায় সম্বল হারিয়ে একেবারেই পথে বসেছেন।

মাথা গোঁজার ঠাঁই কেড়ে নিল আগুন।  ছবি: বাংলানিউজআগুনে সহায় সম্বল হারানো মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কোনো কিছুই বের করতে পারিনি। সব শেষ হয়ে গেছে। হঠাৎ করে এমন আগুন লাগবে ভাবতে পারিনি।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক ফরিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, এখনো পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায় নি। আমরা সবকিছু যাচাই শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারবো।

বাংলাদেশ সময় : ১৬৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।