ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আমদানি-রফতানিতে গতি আনবে বন্দরের নতুন ২ স্ক্যানার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
আমদানি-রফতানিতে গতি আনবে বন্দরের নতুন ২ স্ক্যানার চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার টার্মিনাল

চট্টগ্রাম: দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে আমদানি-রফতানি কনটেইনার পরিবহন ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে আরও দুইটি নতুন স্ক্যানার।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংগৃহীত ‘এফএস ৬০০০’ সিরিজের অত্যাধুনিক ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার দুইটি বসেছে-বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থের (জিসিবি) ১ নম্বর গেট এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৩ গেটে। এর ফলে ইউএস কোস্ট গার্ডের সাম্প্রতিক নির্দেশনা অনুযায়ী বন্দর দিয়ে রফতানিমুখী সব কনটেইনার স্ক্যান করা সহজ হবে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় নতুন স্ক্যানার মেশিন দুইটি উদ্বোধন করবেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।   

বর্তমানে বন্দরের সিসিটি ২, ৪ ও ৫ নম্বর গেটে একটি করে ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার (এফএস ৩০০০) এবং সিসিটি ২ ও জিসিবি ২ নম্বর গেটে মোবাইল স্ক্যানার রয়েছে।

তবে কযেকটি স্ক্যানার পুরনো হওয়ায় মাঝে মধ্যে সচল থাকে না।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, নতুন স্ক্যানার দুইটি ‘বোথ ওয়ে’ স্ক্যান ডিরেকশনে স্ক্যানিং করতে সক্ষম। এর ফলে আমদানি ও রফতানি কনটেইনার স্ক্যানিং করা যাবে। প্রতিটি স্ক্যানার ঘণ্টায় শতাধিক কনটেইনার স্ক্যানিং করতে পারবে।

এ ধরনের স্ক্যানারে জৈব, অজৈব, ধাতব, প্লাস্টিক, বিভিন্ন পণ্যের রঙের স্ক্যান ইমেজ (ছবি) পাওয়া যাবে। তাই স্ক্যান করা কনটেইনারের পণ্যের পার্থক্য নিরূপণ ও সঠিকতা যাচাই সহজ ও দ্রুততর হবে।  

শুল্কফাঁকি, চোরাচালান, মিথ্যা ঘোষণা রোধ, ঝুঁকিমুক্ত আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আরও ৭টি কনটেইনার স্ক্যানার স্থাপনের পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।    

চট্টগ্রাম কাস্টম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বাংলানিউজকে বলেন, আধুনিক স্ক্যানিং মেশিন হচ্ছে কায়িক পরীক্ষার বিকল্প। কারণ সঠিক স্ক্যানিংয়ে ডিজিটাল ইমেজে একটি কনটেইনারের ভেতরে কী আছে সব নিখুঁতভাবে ফুটে ওঠে। বন্দরের সব গেটে যদি স্ক্যানার বসে যায় তাহলে ব্যবসায়ীদের পণ্য বা কনটেইনার খালাস নিতে সময় কমবে, কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমবে, দেশ ও বন্দরের ভাবমূর্তি বাড়বে।

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইএসপিএস কমপ্লায়েন্স পোর্টের শর্তাবলি পূরণে সব গেটে কনটেইনার স্ক্যানিং মেশিন স্থাপনের বিকল্প নেই। এটি ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশে তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানিকারকরা চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনারগুলো যথাযথ স্ক্যানিংয়ের মধ্য দিয়ে যাবে বলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারবে।

২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছিলো ২০ ফুট দীর্ঘ ২৯ লাখ ৩ হাজারটি। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ লাখ ৮৮ হাজার।

বাংলাদেশ সময়:  ২১২০ ঘণ্টা,  ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।