তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ড. মুহাম্মদ হোসেন একাডেমিতে খতমে কোরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ড. হোসেন ১৯৩৯ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ড. হোসেন ১৯৬২ সালের ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার তিন মাস পর প্রাণ-রসায়নের প্রথম শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচয় দিতে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। ১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বরে ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের আগে তিনি বিভিন্ন সময়ে প্রাণ-রসায়ন বিভাগের প্রধান, কৃষি অনুষদের ডিন, শহীদ শামসুল হক হলে প্রভোস্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
২০০০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সড়কপথে দাপ্তরিক কাজে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জের কাচপুর ব্রিজের কাছে সকাল সাড়ে ৭টায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
তার বড় মেয়ে নাহিদ হোসাইন নবেলী আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল, ছেলে ক্যাপ্টেন তানভীর মুহাম্মদ নাফিউল হোসেন সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার ও ছোট মেয়ে নাফিসা হোসাইন মোনালী সেভরন গ্যাস কোম্পানির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত। ড. হোসেনের সহধর্মিণী জোহরা হোসেন পারিবারিকভাবে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীতাকুণ্ডের ড. মুহাম্মদ হোসেন একাডেমির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান।
কৃষি মিউজিয়াম, কেন্দ্রীয় ল্যাব তার কীর্তির সাক্ষ্য বহন করে চলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
এআর/টিসি