চট্টগ্রাম: বায়েজিদ এলাকার বাসা থেকে রাগ করে বের হয়ে নগরের খুলশীতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলো তিন কিশোরী। ঘটনার ছয় দিন পর পুলিশ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
বুধবার (৫ আগস্ট) ভোরে খুলশী থানাধীন সেগুনবাগান এলাকা থেকে দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয় বলে বাংলানিউজকে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ জোন) পরিত্রান তালুকদার।
গ্রেফতার দুই ধর্ষক হলেন- সেগুনবাগান এলাকার ৫ নম্বর লেইনের বাসিন্দা কামাল উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ লিটন (৩৭) এবং লালখানবাজার তুলা পুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান সরদারের ছেলে সোহেল রানা রাজু (২৮)।
এর আগে ৩০ জুলাই ধর্ষণে সহযোগিতা করায় একটি বাড়ির দারোয়ান ওমর ফারুককে (৪৬) গ্রেফতার করা হয়।
পরিত্রান তালুকদার জানান, গ্রেফতার লিটন একসময় খুলশী এলাকার একটি বাসায় গাড়িচালক ছিলেন। এখন তার মালিকানাধীন একটি বাস নোয়াখালী রুটে চলাচল করে। আর সোহেল রানা নগরের ৬ নম্বর রুটের বাসচালক।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রনব চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ২৯ জুলাই বায়েজিদ এলাকার বাসা থেকে তিন কিশোরী রাগ করে বেরিয়ে যায়। তারা টাইগারপাস এলাকায় আসলে এক লোক তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের অসহায়ত্বের কথা বুঝতে পারে। পরে কৌশলে খুলশী আবাসিক এলাকার ৩ নম্বর রোডের একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে দুই ধর্ষক।
ওসি বলেন, কিশোরীদের ওই বাসায় নিয়ে গিয়ে দুই যুবক ধর্ষণ করে ভোরবেলা পালিয়ে যায়। সকালে তিন কিশোরী বাসায় ফিরে পরিবারকে ঘটনা জানালে খুলশী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে যে বাসায় কিশোরীরা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ৩০ জুলাই ওই বাড়ির দারোয়ান ওমর ফারুককে গ্রেফতার করে। পরে তার মোবাইলের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে বাকি দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুই ধর্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি প্রনব চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২০
এসকে/টিসি