ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২০
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

চট্টগ্রাম: চাল ও নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর হাতে সিন্ডিকেট দমন এবং মজুত বিরোধী আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা শাখা। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) চালের ঊর্ধ্বমূল্যরোধ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে খাদ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদানের সময় এই দাবি জানানো হয়।

 

ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহানের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কমিটির সদস্য শামসুল আলম, আব্দুর রশিদ, সুপায়ন বড়ুয়া, অধ্যাপক শিবু কান্তি দাশ, যুব মৈত্রী চট্টগ্রাম জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন মিয়া। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক রূপান্তর চাকমা।

স্মারকলিপি প্রদানকালে ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান বলেন, দেশে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের পরও চালের দাম প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সরকার চলতি মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল তার চেয়ে ৯ লাখ টন কম সংগ্রহ হয়েছে। চালকল মালিকরা চুক্তি অনুযায়ী সরকারকে চাল দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।  

ইতিমধ্যে বিশ্ব বাজারে চাল রপ্তানিকারক দেশসমূহ চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এরসাথে যোগ হয়েছে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে কিন্তু বাজারে চালসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এই পরিস্থিতি নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জীবনধারণের ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। গরিব ও প্রান্তিক মানুষ দু:সহ অবস্থায় পড়েছে।

শরীফ চৌহান বলেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চালের দাম রাখতে হলে অবিলম্বে মজুতবিরোধী আইন প্রয়োগ করা উচিত। মজুত করা খাদ্যদ্রব্য উদ্ধার করে মজুতকারীদের দণ্ডিত করলে চালের বাজারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আসবে। পাশাপাশি কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হলে সরকারি ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রায় যে ঘাটতি এখনো রয়ে গেছে তা প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে কিনে পূরণ করতে হবে।  

চালের মূল্য ভোক্তার ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে এবং অতীতের মতো খাদ্য থাকার পরেও কেউ যাতে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আট দফা দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে।

দাবিগুলো হলো- সরকারি ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রায় যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ, চালকল মালিকদের চুক্তিমত চাল দিতে বাধ্য করা, অন্যথায় জামানত বাজেয়াপ্ত জরিমানাসহ দণ্ডাদেশ প্রদান, মজুতবিরোধী আইন প্রয়োগ করে মজুত করা খাদ্য উদ্ধার ও মজুতকারীকে দণ্ডপ্রদান, চালের বাজারে সক্রিয় সিন্ডিকেট কঠোর হস্তে দমন, কৃষকদের ধানসহ কৃষি পণ্যের উৎসাহ মূল্য প্রদানের জন্য উৎপাদনের খরচ বিবেচনায় উপযুক্ত মূল্য ও ধান চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি পূর্বে নির্ধারণ করা।

গুদাম সংকট, ক্রয় কেন্দ্রের অপ্রতুলতা ও হয়রানি বন্ধের জন্য প্রতি উপজেলায় পেডি সাইলে নির্মাণ ও সমবায় ভিত্তিতে তার পরিচালনা, উৎপাদক কৃষকদের সমবায় করে তাদের সাশ্রয়ী সুদে ঋণ দেয়া যাতে ধান উঠার সময় নিজেদের উদ্বৃত্ত নিজেরাই পেডি সাইলোসহ সুবিধাজনক স্থানে গুদামজাত করা ও অবস্থা বুঝে তা বিক্রি করে বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে পারে, বছরের ৫ মাস ১০ টাকা কেজি মূল্যে ৩০ কেজি চাল প্রদানের কর্মসূচি বছরব্যাপি বিস্তৃত করা এবং সারাদেশে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২০
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।