ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পূজামণ্ডপে স্থায়ী পুলিশ না দেওয়ার সিদ্ধান্তে শঙ্কা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২০
পূজামণ্ডপে স্থায়ী পুলিশ না দেওয়ার সিদ্ধান্তে শঙ্কা চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রাম: আসন্ন শারদোৎসবে পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় স্থায়ী পুলিশ-আনসার না দেওয়ার সিদ্ধান্তে পূজা কমিটিগুলো উদ্বিগ্ন এবং পূজার্থীরা শঙ্কিত বলে জানিয়েছেন পূজা উদযাপন পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার।  

তিনি বলেন, প্রতিবছর শারদোৎসব চলাকালীন পূজা মণ্ডপের পাহারায় স্থায়ীভাবে ৪-১০ জন পুলিশ-আনসার এবং ৫-১০ জন ভিডিপি নিয়োগ দেওয়া হতো, কিন্তু এবার শুধু টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এতে নিরাপত্তা কতটুকু হবে তা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য জোর দাবি জানাই আমরা।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত, সাবেক সভাপতি সাধন ধর, বিমল দে, মুক্তিযোদ্ধা অরবিন্দ পাল অরুণ, সহ সভাপতি অধ্যাপক অর্পণ কান্তি ব্যানর্জী, রানা বিশ্বাস, লায়ন দুলাল চন্দ্র দে, সুমন দেবনাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিথুন মল্লিক, দক্ষিণ জেলা পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিমল দেব, উত্তর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ, সিনিয়র সদস্য বাবুল ঘোষ বাবুন, অরূপ রতন চক্রবর্ত্তী, বিপ্লব চৌধুরী, প্রদীপ শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দত্ত, সহ-কোষাধ্যক্ষ বিপ্লব সেন, দপ্তর সম্পাদক দোলন দেব, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট টিপুশীল জয়দেব, শিক্ষা ও গবেষনা সম্পাদক সুকান্ত মহাজন টুটুল, সহ প্রচার সম্পাদক স্ট্যালিন দে, সহ পূজা বিষয়ক সম্পাদক সঞ্জয়িতা দত্ত পিংকী, সদস্য দীপ্ত সিংহ, সাজু চৌধুরী, কোতোয়ালী থানা পূজা পরিষদের সভাপতি লিটন শীল, সদস্য অয়ন ধর।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বৈশ্বিক মহামারী করোনা দুর্যোগের কারণে এবারের শারদোৎসবের বিভিন্ন কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করেছে মহানগর ও আঞ্চলিক পূজা কমিটিগুলো। পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে। জৌলুসপূর্ণ আলোকসজ্জা, মণ্ডপের সাজসজ্জা, থিম, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতি প্রতিযোগিতা, সাউন্ড সিস্টেম বর্জন করা হবে এবং এগুলো থেকে যে অর্থ সাশ্রয় হবে তা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত গরিব ও অনাথালয়ে বিতরণ করা হবে। পূজামণ্ডপ ও বিসর্জন অনুষ্ঠানে লোকসমাগম বেশি না করার জন্য সবাইকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে এবং ভক্ত ও দর্শনার্থীরা যাতে সুরক্ষিত থাকে তার জন্য সবার প্রতি ২৬ দফা নির্দেশনা দিয়ে লিফলেট প্রচার করা হয়।  

এবার জেএম সেন হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে বোধন, অধিবাস, সপ্তমী পূজা, অষ্টমী পূজা, সন্ধি পূজা, নবমী পূজা, দশমী পূজা, বস্ত্রদান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, জাগরণ পুঁথি পাঠ, প্রতিদিন সন্ধ্যারতি এবং ২৬ অক্টোবর পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে বিসর্জন। সব কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা হবে। এবার বিসর্জনের স্থান পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে অলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রা না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে ৭২ এর সংবিধানের আলোকে সম অধিকার নিশ্চিত, শারদীয়া দুর্গাপূজায় ৪ দিন সাধারণ ছুটি, সরকারি সংস্কৃত কলেজ স্থাপন, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, রাজনীতি ও নির্বাচনে ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার নিষিদ্ধ করসহ ১২টি দাবি জানানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।