ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কর্ণফুলীর ঘাটে জাহাজের পণ্য খালাস শুরু, বহির্নোঙরে যাচ্ছে লাইটার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
কর্ণফুলীর ঘাটে জাহাজের পণ্য খালাস শুরু, বহির্নোঙরে যাচ্ছে লাইটার  কর্ণফুলীর ঘাটে লাইটার জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করছেন শ্রমিকেরা। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি, বৈরী আবহাওয়া, ভারী বৃষ্টির কারণে টানা চারদিন বন্ধ থাকার পর ফের শ্রমিকদের হাঁকডাকে উৎসবমুখর হয়ে উঠছে কর্ণফুলী নদীর ঘাটগুলো। লাইটার জাহাজ থেকে বস্তা ভরে ক্রেনের সাহায্যে নদীপাড়ে আনলোড করা হচ্ছে গম, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য।

সেই বস্তা শ্রমিকরা কাঁধে তুলে ট্রাকে বোঝাই করছেন।   

শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে মাঝিরঘাট, আনুমাঝির ঘাট, এভারগ্রিন ঘাট, বাংলাবাজার ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাটে এমন চিত্র দেখা গেছে।

‘এমভি মায়ের আদেশ’ নামের একটি লাইটার জাহাজের পণ্যখালাসে নিয়োজিত একজন শ্রমিক বাংলানিউজকে জানান, চার দিন পর আবার কাজ পেলাম। খুব ভালো লাগছে।  

কর্ণফুলীর ঘাটে পণ্য খালাস চলছে।  ছবি: উজ্জ্বল ধর

ঘাট গুদাম শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক বাংলানিউজকে বলেন, নৌযান ও লাইটার শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে তিন দিন এবং আবহাওয়া অধিদফতরের ৩-৪ নম্বর সতর্ক সংকেতের কারণে আরও একদিন লাইটার জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ ছিল। শনিবার সকাল থেকে পুরোদমে কর্ণফুলীর ১৬ ঘাটে কাজ চলছে।  

বহির্নোঙরে যাচ্ছে লাইটার জাহাজ

বিদেশ থেকে গম, সার, ডাল, চিনি, সাদা মটর, পাথর, কয়লা, স্ল্যাগ, বল ক্লে, লাইম স্টোন, জিপসাম, সিমেন্ট ক্লিংকার ইত্যাদি খোলাপণ্য নিয়ে আসা বড় জাহাজ থেকে খালাসের জন্য লাইটার (ছোট) জাহাজ বহির্নোঙরে যাচ্ছে শনিবার সকাল থেকে। কর্ণফুলী নদীর ড্রাফট কম থাকায় এসব বড় জাহাজ সরাসরি বন্দরের মূল জেটিতে ভিড়তে পারে না। বহির্নোঙরে (সাগরে) অপেক্ষমাণ থাকাবস্থায় ছোট ছোট জাহাজে ক্রেনের সাহায্যে এসব বড় জাহাজের পণ্য খালাস করা হয়। তারপর বিভিন্ন নদীবন্দর, শিল্পকারখানার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় নদীপথে।  

কর্ণফুলীর ঘাটে লাইটার জাহাজ থেকে পণ্য খালাস হচ্ছে।  ছবি: উজ্জ্বল ধরবাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ মো. ইছা মিয়া বাংলানিউজকে জানান, কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর সাগর উত্তাল ও ভারী বর্ষণের কারণে বহির্নোঙরে পণ্য খালাসে যেতে পারেনি লাইটার জাহাজগুলো। ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) সিরিয়াল নিয়ে রাখা বড় লাইটার জাহাজগুলো শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে রওনা হয়েছে। আশাকরি বিকেল থেকে লাইটারিং শুরু হবে।  

তিনি জানান, কর্মবিরতির আগে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ ছিল ৩৭টি জাহাজ। এখন আরও জাহাজ যোগ হয়ে অর্ধশতাধিক হয়েছে।  
একজন জাহাজ মালিক বাংলানিউজকে বলেন, বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ তিনটি বড় জাহাজের কাছে আমাদের ৬টি লাইটার জাহাজ ভিড়েছে। জোয়ারের পর সাগর শান্ত হলেই লাইটারিং শুরু হবে। সাগর উত্তাল হলে বিদেশি জাহাজের পাইলট, ক্যাপ্টেনরা দুর্ঘটনার আশঙ্কায় লাইটারিংয়ের অনুমতি দেন না।  

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবী আলম বাংলানিউজকে জানান, বেলা দেড়টার দিকে আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলেছে। লাইটার জাহাজ চলাচল ও নদীপথে পণ্য পরিবহন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক হচ্ছে।  

>> নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
>> বন্দরের বহির্নোঙরে খালাস ও নদীপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ
>> অলস বড় জাহাজের একদিনে ক্ষতি ১০ হাজার ডলারের বেশি

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।