ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি নির্ণয়ে গবেষণায় ৬ চিকিৎসক

মিনার মিজান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি নির্ণয়ে গবেষণায় ৬ চিকিৎসক প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থেকে সুস্থ হওয়ার পর লোকজন কী কী জটিলতায় ভুগছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটুকু বেড়েছে এবং পরবর্তীতে আবারও করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কিনা এসব জানতে গবেষণা শুরু করেছে চট্টগ্রামের ৬ চিকিৎসক।

‘স্যারোপ্রিভিল্যান্স অব সার্সকোভ-২ অ্যান্টিবডি ইন আরটি-পিসিআর পজেটিভ পেশেন্ট ইন চট্টগ্রাম’ শিরোনামে এ গবেষণায় চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হওয়া মানুষের ওপর চালানো হবে এ অ্যান্টিবডি পরীক্ষা।

কমপক্ষে প্রায় ১৭শ’ এবং সর্বোচ্চ প্রায় ২৫শ’ মানুষের ওপর চালানো এ পরীক্ষা হবে সম্পূর্ণ দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে। এ গবেষণা সম্পন্ন করতে সময় লাগবে ছয় মাস।
এ গবেষণায় নেতৃত্ব রয়েছেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব মাসুম।  

গবেষণার বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. আব্দুর রব মাসুম বাংলানিউজকে বলেন, গত সাত মাস ধরে যাদের করোনা হয়েছে তাদের মধ্য থেকে কিছু মানুষের অ্যান্টিবডি টেস্ট করব। এ টেস্টের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারব সবার মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কিনা। কিংবা একটি নির্দিষ্ট সময় পর অ্যান্টিবডি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কিনা। এ টেস্টের ফলে আমরা আরও জানতে পারব একবার করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর ভবিষ্যতে আবারও করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কতটুকু।  

করোনা গবেষণার উদ্বোধন অনুষ্ঠানএ গবেষণাদলের সদস্যরা হলেন- জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এইচএম হামিদুল্লাহ মেহেদি, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ হোসেন খান। এ ছাড়া রয়েছে আরও তিন চিকিৎসক ডা. অমি দেব, ডা. মহিউদ্দিন এবং ডা. মুনতাহিনা রশিদ।

ডা. এইচএম হামিদুল্লাহ মেহেদি বাংলানিউজকে বলেন, এ গবেষণার মাধ্যমে আমরা জানতে পারব করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর রোগীর শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি রয়েছে কিনা। তা ছাড়া মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটুকু বেড়েছে তাও জানা যাবে। আগামী মঙ্গলবার থেকে এ গবেষণার জন্য অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু করা হবে।  

এদিকে, রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে এ গবেষণা প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। উপস্থিত ছিলেন জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমরা নাথ, চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।  

ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, এ অপরিচিত ভাইরাসটি সম্পর্কে আরও ভালো করে জানতে হলে অধিকতর গবেষণার বিকল্প নেই। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে ভাইরাসটি নিয়ে গবেষণা চলছে। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। যত বেশি গবেষণা বাড়বে তত বেশি আমরা এ বিষয়টি নিয়ে জানতে পারব এবং তা চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যাবে।
সম্পূর্ণ বেসরকারি অর্থায়নে পরিচালিত এ গবেষণায় কারিগরি সহায়তা দেবে শিওরসেল, চট্টগ্রাম এবং আর্থিক সহায়তা দেবেন ‘হসপিটেক এসেনশিয়াল’।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
এমএম/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।