চট্টগ্রাম: প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক মেয়র চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
উপস্থিত ছিলেন- প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন এম. মঈনুল হক, স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর সোহেল এম. শাকুর, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার মনির, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক ও ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান।
প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন মূলত একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তিনি ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে ছয় দফা থেকে শুরু করে পাকিস্তান বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি যুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা-উত্তর-কালেও তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে তার রাজনৈতিক-কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিই করে গেছেন।
তিনি বলেন, মানুষকে বড় হওয়ার জন্য মনের দারিদ্র দূর করতে হয়। এই দারিদ্র মানে মনের অন্ধকার। শিক্ষার মাধ্যমে এই অন্ধকার দূরীভূত করা সম্ভব। মানবতাবাদী রাজনৈতিক নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এ কারণে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অন্যতম। তিনি গভীরভাবে দেশকে ভালবাসতেন, ভালবাসতেন এই চট্টগ্রামকে, চট্টগ্রামের মানুষকে। তিনি আমৃত্যু চট্টগ্রামের কল্যাণের কথা, উন্নয়নের কথা চিন্তা করেছেন। এ কারণে তিনবার নির্বাচিত মেয়র থাকাকালে তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নের কাজে আত্মনিয়োগ করেন এবং শিক্ষা, চিকিৎসা ও রাস্তা-ঘাটের বিস্তার করেন।
এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর নগরের জিইসি মোড়ে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কেন্দ্রীয় মসজিদে তার আত্মার শান্তি কামনায় খতমে কোরান, মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন ও মাওলানা বোরহান উদ্দিন হোসাইনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
এমআর/টিসি