চট্টগ্রাম: মদুনাঘাটে শেখ রাসেল পানি শোধনাগারের পাশে গড়ে তোলা ব্যক্তিমালিকানাধীন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এই জায়গা ২০০৬ সাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লিজ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে দখলে থাকা ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) ওয়াসার নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ফাহমিদা মুস্তফার নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ফাহমিদা মুস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ক্রয়কৃত চট্টগ্রাম ওয়াসার শেখ রাসেল পানি শোধনাগারের প্রায় ৪০ শতাংশ জায়গা দীর্ঘদিন অবৈধভাবে দখলে ছিল।
অন্যদিকে জমিটি লিজ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা নেছার উদ্দিন বুলু বাংলানিউজকে বলেন, ২০০৬ সালে পাঁচ বছরের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জমিটি লিজ নিই। শর্ত ছিল পাঁচ বছর শেষে লিজ নবায়ন করা যাবে। ২০১১ সালে লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কাল্পনিক অভিযোগ এনে আমাদের দখল বুঝিয়ে দিতে বলে। তখন আমরা হাইকোর্টে রিট করি। পরে হাটহাজারী সহকারী জজ আদালতে মামলা করি।
তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য আবেদন করলে পানি উন্নয়ন বোর্ড আপত্তি দাখিল করে। আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড বর্ণনা দাখিলের জন্য সময় চায়। আগামি ১১ মার্চ বর্ণনা দাখিল ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা আছে। আদালতের আদেশ অমান্য করে চট্টগ্রাম ওয়াসা বিনা নোটিশে আমাদের কয়েক কোটি টাকার স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল। এ ব্যাপারে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
এমএম/এসকে/টিসি