ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রফতানিমুখী শিল্পের দেড় কোটি টাকার ৪০ টন কাপড় আটক বন্দরে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
রফতানিমুখী শিল্পের দেড় কোটি টাকার ৪০ টন কাপড় আটক বন্দরে ...

চট্টগ্রাম: রফতানিমুখী শিল্পের নাম ব্যবহার করে আনা দেড় কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৪০ টন পর্দা ও সোফার কাপড় আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) কায়িক পরীক্ষায় ঘোষিত পণ্য শিল্পের কাঁচামালের (ব্লিচড ফেব্রিক্স) পরিবর্তে পাওয়া যায় প্রায় ৪০ মেট্রিকটন পর্দা ও সোফার কাপড়।

এ ক্ষেত্রে দেড় কোটি টাকা মূল্যের এ চালানে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা শুল্কফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়।  

ঈশ্বরদী ইপিজেডের রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান নাকানো ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডের নামে  ব্লিচড ফেব্রিকস ঘোষণায় চীন থেকে দুই কনটেইনার এসব কাপড় আমদানি করা হয়েছে।

কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, একটি কনটেইনার আসার প্রায় দেড় মাস এবং অপর কনটেইনারের ২০ দিন পেরোলেও পণ্য খালাসের জন্য আমদানিকারক  প্রতিষ্ঠান কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এদিকে কনটেইনারে ঘোষণা বহির্ভূত পর্দা ও সোফার কাপড় আছে এমন গোপন সংবাদ থাকায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে কনটেইনার দুইটির বিএল ব্লক করে রাখে। পণ্য পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমদানিকারকের প্রতিনিধিকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করে এআইআর টিম । তৎপ্রেক্ষিতে তারা জানায়, কনটেইনার দুইটি তাদের প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত নয় এবং কেউ তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে পণ্যচালান দুইটি আমদানি করেছে।  

এরপর কাস্টম কমিশনারের নির্দেশে কনটেইনার দুইটি ফোর্স কিপডাউন করে কায়িক পরীক্ষার উদ্যোগ নেন এআইআর শাখার কর্মকর্তারা।  

এআইআর শাখার দায়িত্বে থাকা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, দেশি পোশাক শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে ইপিজেডের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) ছাড়াই আইপির মাধ্যমে কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে তড়িৎ খালাসের আওতায় পণ্যচালানগুলো ছাড় দেওয়া হয়। এ চালানে সুযোগের অপব্যবহার করে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে অভিনব পন্থায় শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।  

তিনি বলেন, কাস্টম হাউসের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে পণ্য খালাসের উদ্যোগ নেয়নি এ চক্র। তবুও শেষ রক্ষা হলো না। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
এআর/টিসি  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।