ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রোহিঙ্গা নারীদের নিরাপত্তা ও দক্ষতা উন্নয়নে নারীবান্ধব কেন্দ্র 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১
রোহিঙ্গা নারীদের নিরাপত্তা ও দক্ষতা উন্নয়নে নারীবান্ধব কেন্দ্র  ...

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং লাম্বাসিয়ায় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নারীদের নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ব্যতিক্রমী নারীবান্ধব কেন্দ্র উদ্বোধন হয়েছে।  

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় ৪ নম্বর ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে এ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও ক্যাম্প ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড নেশন হাইকমিশন ফর রিফিউজির (ইউএনএইচসিআর) লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ইউনিটের কর্মকর্তা তেরা ম্যাককিনন, ব্র্যাকের হিউম্যানিট্যারিয়ান ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ও সহকারী ক্যাম্প ইনচার্জ বিমল চাকমা, ব্র্যাকের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ইউনিটের প্রজেক্ট ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান, স্থানীয় রোহিঙ্গা নারীনেত্রী আনোয়ারা বেগম প্রমুখ।  
মাহফুজুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা নারীদের বাল্যবিয়ে নিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে এ কেন্দ্র করা হয়েছে।

এটা যেন সঠিকভাবে কার্যকর করা হয়, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।  

এ লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাককে যাবতীয় সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।  

তিনি বলেন, এ কেন্দ্রের মাধ্যমে আমাদের বাল্যবিয়ে নিরোধে কাজ করার পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে রোহিঙ্গা কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।  

হাসিনা আখতার হক বলেন, এটাকে রোহিঙ্গা কমিউনিটি যেন শুধু অবসরের স্থান হিসেবে বিবেচনা না করেন। বরং প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেরা যেন দক্ষ হয়ে উঠেন, সেদিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। এতে তারা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবেন এবং সত্যিকার ‘শান্তিখানা’হিসেবে বিবেচিত হবে।  

এ কেন্দ্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নারীদের বাল্যবিয়ে নিরোধ, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশেষ কাউন্সেলিং, জেন্ডার সচেতনতা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার নারীদের সহায়তা প্রদান, টেইলারিং ও হস্তশিল্পে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কর্মদক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে প্রতি ব্যাচে ২০-২৫ জন করে দিনে ১০০-১২০ জন মেয়ে ও নারীদের প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ থাকছে।  

২০২০ সালের এপ্রিলে বজ্রপাতে এ কেন্দ্রটি পুড়ে যায়। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদার নিরিখে কেন্দ্রটি আবার উদ্বোধন করা হলো। ইউনাইটেড নেশন হাইকমিশন ফর রিফিউজির (ইউএনএইচসিআর) সহযোগিতায় ব্র্যাক এ কেন্দ্র পুনর্নির্মাণ ও যাবতীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।