ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘চিন্ময় মনীষা অচ্যুতানন্দ’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান

মহাপুরুষদের জীবনী শ্রদ্ধার কাব্য রচনার প্রেরণা জাগায়: ড. পীযূষ দত্ত

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
মহাপুরুষদের জীবনী শ্রদ্ধার কাব্য রচনার প্রেরণা জাগায়: ড. পীযূষ দত্ত ‘চিন্ময় মনীষা অচ্যুতানন্দ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) নির্বাহী পরিচালক ড. পীযূষ দত্ত বলেছেন, মানবসমাজে যাঁরা অসাধারণত্বের ঐশ্বর্য্যে বলিয়ান, যাঁদের মধ্যে দেখেছি মনুষ্যত্বের অপার বিস্ময়, আমরা তাঁদের শ্রদ্ধা করি। হৃদয়ের ভক্তি ও ভালোবাসা দিয়ে আমরা তাঁদের উদ্দেশ্যে রচনা করি অর্ঘ-ডালা।

 

‘মহাপুরুষদের জীবনচরিত আমাদের অন্তরে সেই শ্রদ্ধা-ভক্তির কাব্য রচনার প্রেরণা জাগায়। লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) তপন মিত্র চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঋষিকূল শিরোমণি শ্রীমৎ স্বামী অচ্যুতানন্দ পুরী মহারাজের জীবনী নিয়ে রচিত ‘চিন্ময় মনীষা অচ্যুতানন্দ’ গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে সে কথাই প্রতিমূর্ত হয়ে উঠেছে’।

শনিবার (১৩ মার্চ) বিকাল ৫টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে অনুরূপা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘চিন্ময় মনীষা অচ্যুতানন্দ’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রকাশনা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্থপতি প্রণত মিত্র চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, চবি প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক চৌধুরী, বাণীর বরপুত্র শ্রী সুদর্শন চক্রবর্তী ও লায়ন ডা. দুলাল দাশ। গ্রন্থের সম্পাদক সাংবাদিক আবীর চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ঋষিপুত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) তপন মিত্র চৌধুরী। বরেণ্য অতিথি ছিলেন অধ্যাপক স্বপন চৌধুরী।  

প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, শ্রীমৎ স্বামী অচ্যুতানন্দ পুরী মহারাজের জন্ম বাঁশখালীর বাণীগ্রামে। নন্দনকানন তুলসীধামে অগ্রজ অদ্বৈতানন্দ পুরীর হাত ধরে তিনি শরণাগতদের দেখিয়েছেন আলোর পথ। ‘চিন্ময় মনীষা অচ্যুতানন্দ’ গ্রন্থ পাঠে নতুন প্রজন্ম এই মহান সাধক সম্পর্কে জানতে পারবেন।

সুদর্শন চক্রবর্তী বলেন, দেশে কালে কালে জন্ম নেন ক্ষণজন্মা মহাপুরুষরা। তাঁরা অপরাজেয় পৌরুষের অধিকারী, মনুষ্যত্বের সাধক, হৃদয় ঐশ্বর্য্যে মহীয়ান, মহৈশ্বর্যে নম্র। তাঁরা মহাদৈন্যে উন্নত মস্তক, সম্পদে কুণ্ঠিত, বিপদে নির্ভীক। তাঁরা আমাদের শুভ আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, পরবর্তী প্রজন্মের নতুন ঠিকানা। তাঁরা যুগে যুগে স্মরণীয়, বন্দিত মহাপুরুষ।  

‘জ্ঞানীরা শ্রীমৎ স্বামী অচ্যুতানন্দ পুরী মহারাজের মতো মহান সাধকদের অমূল্য জীবনচরিত পাঠ করে হৃদয়কে সেভাবে বিকশিত করে তোলার চেষ্টা করেন। যে জীবনচরিতের মাঝে আমরা খুঁজে পাই আশার আলো, শোকের মাঝে পাই সান্ত্বনা’।

অতিথিদের উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন প্রকাশনা উৎসব উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তা ইন্দিরা ঘোষ, বিজয় লক্ষ্মী চৌধুরী, প্রদীপ মিত্র চৌধুরী, কে এম সালাহউদ্দিন কামাল, সোনারাম ধর, চন্দ্রনাথ পাল, পার্থ সারথী চৌধুরী।  

শেষে ‘চিন্ময় মনীষা অচ্যুতানন্দ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। প্রকাশনা উৎসবে লেখক ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। এই গ্রন্থে স্বামী অচ্যুতানন্দ পুরীর লিখিত পত্র, ভাষণ, মহারাজকে নিয়ে স্মৃতিচারণ ও দুর্লভ স্থিরচিত্র স্থান পেয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।