ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নির্দেশনা মেনে চট্টগ্রামে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২১
নির্দেশনা মেনে চট্টগ্রামে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ৭টি কেন্দ্রে এমবিবিএস ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেন পরীক্ষার্থীরা।

চমেক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, বাওয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের দামপাড়া ও জিইসি ক্যাম্পাস, কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ১০ হাজার ৯০৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহণ করেছেন ১০ হাজার ৫১৭ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৩৮৮ জন।

 

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এই ভর্তি পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় চট্টগ্রামে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ। গত বছর পরীক্ষার্থী ছিল ৬ হাজার ২১১ জন। সারাদেশে এ বছর ১ লাখ ২২ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। আসনপ্রতি ২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।  

নিয়ম অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসাবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

দেশের ৪৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০টি। এছাড়া ৭০টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসন আছে ৬ হাজার ৩৪০টি। ডেন্টাল কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবেদন শুরু হয়েছে ২৭ মার্চ থেকে, যা শেষ হবে ১৫ এপ্রিল। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩০ এপ্রিল।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে প্রতি বছর বিদেশি সহ ২৩০ জন শিক্ষার্থীকে এমবিবিএস (ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি) কোর্সে ভর্তি করা হয়। বিডিএস (ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি) কোর্সে ভর্তি করা হয় ৫০ জন।  

এছাড়া বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন আর্মি মেডিক্যাল কলেজ, চট্টগ্রাম (এএমসিসি)-এ মেডিক্যাল ক্যাডেট (এএফএমসি) এবং আর্মি মেডিক্যাল কর্পস ক্যাডেট (এএমসি) হিসেবে ভর্তি করা হয় ১০০ জন শিক্ষার্থী।

বেসরকারি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, চট্টগ্রাম (ইউএসটিসি) এর চিকিৎসা অনুষদের অধীনে প্রতি ব্যাচে ৭৫ জন দেশি ও ২৫ শতাংশ বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির নিয়ম রয়েছে। চন্দনাইশের বিজিসি ট্রাস্ট মেডিক্যাল কলেজে ৯০ জন, আগ্রাবাদের চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে ১০০ জন, নাসিরাবাদ এলাকার সাউদার্ন মেডিক্যাল কলেজে ৬৫ জন, চন্দ্রনগর এলাকার মেরিন সিটি মেডিক্যাল কলেজে প্রতি ব্যাচে ৫০ জন, চান্দগাঁও শমসের পাড়া ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী মেডিক্যাল কলেজে (আইআইএমসিএইচ)৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এসব মেডিক্যাল কলেজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা মতে, ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ এর কম নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীরা বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন না। প্রায় একই রকম নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলও (বিএমডিসি)। এতে বলা হয়, প্রতিটি বেসরকারি মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজ ও ইনস্টিটিউটকে অবশ্যই মেধাক্রম অনুসারে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। যদিও বিগত বছরগুলোতে অনেক ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটতে দেখা গেছে।

এদিকে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাইরে অভিভাবকদের ভিড়। করোনাভাইরাসের কারণে গণপরিবহনে আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনে সরকারি নির্দেশনা থাকায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা সকাল ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে উপস্থিত হন।

ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছ রাখতে কেন্দ্রে সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস আনা নিষিদ্ধ করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয় পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য। ছিল ভ্রাম্যমাণ আদালতও। করোনার  সংক্রমণ রোধে নির্দেশনা মেনে পরীক্ষার্থীরা মাস্ক পরে কেন্দ্রে আসেন। এ ছাড়া প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মাল স্ক্যানার, জীবাণুনাশক অটো স্প্রে মেশিনসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২১
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।