ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ভালো, ১-২ শতাংশ চলে যান ট্র্যাকের বাইরে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ভালো, ১-২ শতাংশ চলে যান ট্র্যাকের বাইরে মতবিনিময় সভা।

চট্টগ্রাম: দেশের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ভালো উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ বলেছেন, ব্যবসায়ীদের ১-২ শতাংশ ট্র্যাকের বাইরে চলে যান, তাদেরকে ট্র্যাকে আনার জন্য মনিটরিং টিম কাজ করবে।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রমজানে পণ্যের মূল্য, মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিভাগভিত্তিক মনিটরিং কমিটি চট্টগ্রাম বন্দর ও খাতুনগঞ্জে স্টেকহোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মনিটরিং কমিটির দলনেতা বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য (অর্থ ও বাণিজ্য) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরীর সভাপতিত্বে জুম অ্যাপে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার।  

প্রধান অতিথি বলেন, রমজানে ভোক্তাদের শান্তি দেওয়ার জন্য যার যা দায়িত্ব, তাকে তা পালন করতে হবে।

সরবরাহ চেইনে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে।

দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করে ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য মজুদ ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের স্বার্থ বিবেচনায় সরকার ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  

কোভিড পরিস্থিতিতে বন্দরের লোড-আনলোড অব্যাহত থাকবে বিধায় বন্দর হতে পণ্যসামগ্রী লোড-আনলোডের ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট প্রদানে জড়িত সব সংস্থাসহ সিঅ্যান্ডএফকে দ্রুততম সময়ে কাজ করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান। পণ্য পরিবহন ও সরবরাহে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার এখনও স্থিতিশীল রয়েছে। পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় এবার কম রয়েছে। আমরা নিয়মিত বাজার মনিটর করছি। এ বিষয়ে মোবাইল টিম কাজ করছে। এখন পর্যন্ত অস্বাভাবিক কিছু দেখা যায়নি।  

কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা গেলে তা দ্রুততম সময়ে সমাধানের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসককে অবহিত করার জন্য তিনি সব ব্যবসায়ীকে আহবান জানান।  

বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম-কমিশনার তোফায়েল আহমদ, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুব আলম, চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) মুনির আহমদ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ফয়েজুল্লাহ, আরজেএসসি চট্টগ্রাম এর উপ-নিবন্ধক হারুনুর রশিদ, উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমেদ, চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার ও সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন, খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক জাবেদ ইকবাল, চট্টগ্রাম চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনামুল হক, চট্টগ্রাম কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন।  

ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে প্রচুর মজুদ আছে এবং পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। সরবরাহ চেইন এবং সংশ্লিষ্ট লোকবলের যাতায়াতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হলে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।