চট্টগ্রাম: লকডাউনের প্রথমদিন পহেলা বৈশাখের ছুটি থাকায় জনসমাগম কম থাকলেও দ্বিতীয় দিন বেড়েছে ব্যস্ততা। গণপরিবহন না থাকলেও নগরে চলাচল করেছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরজুড়ে সড়কে রিকশার আধিক্য।
আখতার হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহের লকডাউনের চেয়ে এবারের লকডাউনে মানুষের চলাচল কম। তবে যতটা কঠোর হবে বলে মনে হয়েছে ততটা কঠোর হয়নি লকডাউন।
মুভমেন্ট পাস আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। তাহলে এই মুভমেন্ট পাস কে দেখবে? তাছাড়া মুভমেন্ট পাস পেতেও যে লম্বা প্রসেস। ততক্ষণে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে আবার বাসায় ফিরে যাওয়া যাবে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, জনসাধারণ লকডাউন মনছে কিনা তা তদারকি করছে পুলিশ। আমাদের টহল টিম রয়েছে যারা নগরে সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। জনসাধারণের চলাচল আরও সীমিত করতে মুভমেন্ট পাস চেক করছে পুলিশ।
তবে ডাক্তার, নার্স, মেডিক্যাল স্টাফ, কোভিড টিকা ও চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, ব্যাংকার, ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ, সাংবাদিক, গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান, টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী, বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, জরুরি সেবায় জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী, অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা, শিল্প কারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ফায়ার সার্ভিস, ডাকসেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা, বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র থাকলেই চলবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২১
এমএম/এসি/টিসি