চট্টগ্রাম: জিলাপি, বিরিয়ানি, বুরিন্দা, বেগুনিসহ বাহারি ইফতার রাঙানো হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর টেক্সটাইল কালারে। আসল ফুড কালারের দাম বেশি হওয়ায় বিভিন্ন বেকারি, হোটেল-মোটেল ও চায়ের দোকানিদের কাছে কমদামি রঙের চাহিদা বেশি।
রোববার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের তদারকিমূলক অভিযানে খাদ্যপণ্যে মেশানোর উদ্দেশ্যে বিক্রির জন্য রাখা প্রচুর রং জব্দ করা হয়েছে।
এপিবিএন, ৯ এর সহায়তায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, রিয়াজউদ্দিন বাজারের গিয়াস সওদাগরের দোকানকে নকল চেরি (রং দেওয়া করমচা) বিক্রি করায় ২ হাজার টাকা জরিমানাসহ সব চেরি ধ্বংস করা হয়। শাহ মজিদিয়া স্টোরকে অননুমোদিত রং, উৎপাদন-মেয়াদ বিহীন মোড়কজাত আটা, বৈধ আমদানিকারক বিহীন বিদেশি পণ্য বিক্রি করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ রং জব্দ করা হয়েছে।
ইব্রাহিম স্টোরকে অননুমোদিত রং সংরক্ষণ করায় ৪ হাজার টাকা, সাতকানিয়া স্টোরকে হাইড্রোজ বিক্রি করায় ৪ হাজার টাকা, বাচ্চু স্টোরকে নকল চেরি ও অননুমোদিত রং বিক্রি করায় ৪ হাজার টাকা জরিমানাসহ নকল চেরি, হাইড্রোজ ও রং জব্দ করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ফলমণ্ডির ফারিয়া স্টোরকে অপরিচ্ছন্ন জায়গায় খেজুর সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা, সেনবাগ ফার্মকে খুচরা মূল্য ও অন্যান্য তথ্য প্রদান না করে খেজুর মোড়কজাত ও বিক্রি করায় ১০ হাজার টাকা, মামা-ভাগিনা খেজুরের দোকানকে অননুমোদিত এনার্জি ড্রিংক বিক্রি করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানাসহ সব এনার্জি ড্রিঙ্ক ধ্বংস করা হয়।
অভিযানকালে ভোক্তাসাধারণের মাঝে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক লিফলেট বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি বিক্রেতাদের মাস্ক পরতে, ক্রেতাদের মাস্ক পরার পাশাপাশি নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয় এবং প্রতারিত হলে অধিদফতরের হট লাইন নম্বরে (১৬১২১) অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করা হয়।
জনস্বার্থে তদারকিমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২১
এআর/টিসি