ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঈদ শপিংয়ে সতর্ক না হলে ‘মৃত্যু’ কেনার মতো হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
ঈদ শপিংয়ে সতর্ক না হলে ‘মৃত্যু’ কেনার মতো হবে জহুর হকার্স মার্কেটে ক্রেতার ভিড়। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: ব্যবসায়ীরা মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শপিংমল খোলা ও দোকানপাট চালু করলেও সেই প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন না থাকায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।  

ক্যাব নেতাদের আশঙ্কা- ক্রেতারা যদি হুমড়ি খেয়ে ঈদের বাজার করতে মৃত্যুপুরী শপিংমল ও দোকানে ভিড় করেন তাহলে পরিবারের জন্য করোনা কিনে আনার মতো বিপর্যয় হবে।

 

সোমবার (২৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান এ আশঙ্কার কথা জানান।  

বিবৃতিতে ক্যাব নেতারা বলেন, করোনা যেহেতু ছোঁয়াচে এবং সংক্রমণ বাড়ার উৎসগুলির মধ্যে গণপরিবহন, শপিংমল ও মসজিদসহ জনসমাগমকে চিহ্নিত করা হয়েছে সেহেতু নিজেকে এবং পরিবারকে বাঁচানোর জন্য এসব এলাকা এড়িয়ে চলার বিকল্প নেই।

ব্যবসায়ীদের জীবিকা বাঁচানোর জন্য আপনি যদি বেঁচে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে সেটা করতে পারবেন। কিন্তু জেনে শুনে নিজের ও পরিবারের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনা বুদ্ধিমানের পরিচয় হবে না।

আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অক্সিজেনের জন্য পুরো ভারতজুড়ে হাহাকার এবং মৃত্যুর মিছিল। সোশ্যাল মিডিয়া ও টিভি, পত্র-পত্রিকার কল্যাণে আমরা এ সব সংবাদ শুনলেও আমলে না নেওয়ার পরিণতি ভারতের মতো হবে।

তারা বলেন, করোনা যেহেতু দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং অদৃশ্য শত্রু। সাধারণ মানুষের পক্ষে করোনার রোগী শনাক্ত ও চিহ্নিত করা কঠিন। যে পরিবারের একজন আক্রান্ত হয়েছে শুধু সেই পরিবারের আহাজারী ও অবর্ণনীয় দুঃখকষ্ট শোনার মতো কেউ নেই। করোনায় জীবিকা বাঁচাতে গিয়ে অনেক পরিবার চিকিৎসা ও ওষুধের খরচ জোগাতে নিঃস্ব হয়ে গেছে। বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা আমাদের জানা, হাসপাতালে বেড় নেই, চিকিৎসা নেই, ওষুধ নেই, অক্সিজেন নেই। মানুষ বিনা চিকিৎসায় রাস্তায় রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যুর প্রহর গুনেছে। করোনায় মৃত্যবরণকারী অনেকের ঠিকমতো জানাজা পড়া ও কবর দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই এবারও সে ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি যেন হতে না হয় সে জন্য সতর্ক করা ছাড়া বিকল্প নেই।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গণপরিবহন মালিকরা যেভাবে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের কথা বলে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে স্বাস্থ্যবিধি ও অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করেনি। সেখানে সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন হাতেগোনা কয়েকটি দায়সারা ফটোসেশনের অভিযান পরিচালনা করেছেন, একই ভাবে ব্যবসায়ীদের শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রশাসন কার্যকর উদ্যোগ নেবে সে আশা কতটুকু পূরণ হবে তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। তাই নাগরিক হিসেবে করোনা থেকে নিজকে ও পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে নিজের সতর্কতা ও নিরাপত্তা নিজেকে নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।