চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের পর থেকে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩৭১টি। যা চট্টগ্রামের মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ হাজার ৬৬২টি।
জাতীয় তথ্য বাতায়ন চট্টগ্রাম বিভাগের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলায় মোট জনসংখ্যা ৭৯ লাখ ১৩ হাজার। সে হিসেবে চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষার হার ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত একবছরে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে করোনার চিকিৎসা নিয়েছেন ৭ হাজার ২৫৩ জন, এরমধ্যে গত মার্চ মাসে চিকিৎসা নিয়েছেন মাত্র ৫২৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৬ হাজার ১৮৬ জন। এরমধ্যে ৩১ হাজার ১৫০ জনই হোম আইসোলেশনে থেকে এবং বাকি ৫ হাজার ৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। এছাড়া চট্টগ্রামে ১ হাজার ৬০০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছে ৬৯৬টি শয্যায়। আর বাকি ৯০৪ শয্যা এখনও খালি রয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট হামিদুল্লাহ মেহেদি বাংলানিউজকে বলেন, গত এক বছরে যে পরিমাণ টেস্ট করা হয়েছে তা দিয়ে করোনা সংক্রমণের আসল তথ্য পাওয়া যাবে না। তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি করে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো। বেশির ভাগ মানুষই অসচেতন। মৃদু জ্বর, সর্দি, কাশি হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে চায় না। তাই এর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা বাড়ানো। কারণ যত বেশি টেস্ট করানো যাবে তত বেশি মানুষকে আইসোলেট করা যাবে।
করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, মানুষের অসচেতনতার কারণে করোনা সংক্রমণের সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মানুষের সচেতনতা বাড়ানোয় জোর দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮,২০২১
এমএম/এসি/টিসি