চট্টগ্রাম: প্রচণ্ড গরমে আগেভাগে পাকছে বাঁশখালীর স্থানীয় জাতের লিচু। স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি এ লিচু বিক্রি হচ্ছে চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলায়।
নগরের কাজীর দেউড়ি মোড়ে রিকশাভ্যানে একজন লিচু বিক্রেতাকে দেখা গেল লিচু নিয়ে হাঁকডাক করতে। তিনি জানান, বাঁশখালীর লিচু একদাম ২০০ টাকা।
স্টেশন রোডের ফলমণ্ডিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর লিচু চট্টগ্রামে আসতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে। রাঙামাটির লিচুও এখনো চট্টগ্রামের আড়তে আসেনি। এখন নগরে বিক্ষিপ্তভাবে যে লিচু বিক্রি হচ্ছে তা খুচরা বিক্রেতারা বাঁশখালী থেকে যে যার মতো এনে বিক্রি করছেন।
বাঁশখালীর একজন লিচুবাগান মালিক দিলীপ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার (৪ মে) তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাগানে ৩৯৫টি লিচু গাছ আছে। লিচু পাকতে শুরু করেছে। কম-বেশি সব বাগানেই লিচু ধরেছে। আজ সকালে কালীপুরে প্রচুর লিচু বিক্রি হতে দেখেছি।
আরেকজন লিচু বাগানের মালিক জানান, লকডাউনের কারণে লিচু বাজারজাতকরণ, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাদের আগ্রহ, চাহিদা-জোগান সব মিলে দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন এবার।
বাঁশখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবু সালেক বাংলানিউজকে বলেন, প্রচণ্ড রোদ আর গরমে পাকা লিচুর কালার এসে গেছে। গুটি জাতের, স্থানীয় আগাম জাতে কিছু লিচু বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আশাকরছি বাণিজ্যিকভাবে যেসব বাগানমালিক লিচু চাষ করেছেন তারা সপ্তাহখানেকের মধ্যে লিচু বিক্রি শুরু করবেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালীর কালীপুর ছাড়াও পুঁইছড়ি, চাম্বল, জলদী, বৈলছড়ি, সাধনপুরে ৭০০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। এর মধ্যে কালীপুরে পৌনে তিনশ’ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে আড়াইশ’ লিচু গাছ লাগানো হয়।
বাঁশখালীতে স্থানীয় জাতের পাশাপাশি বোম্বাই, মাদ্রাজি, কাদমি, মোজাফফরপুরী, বেদানা, কালীবাড়ি, মঙ্গলবাড়ি, চায়না-৩, বারি-১, বারি-২ ও বারি-৩ জাতের লিচুর চাষ হচ্ছে। বড় শাঁস, ছোট বিচির লিচুর চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় উন্নতজাতের লিচু চাষে আগ্রহ বাড়ছে বাণিজ্যিক লিচু বাগানে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২১
এআর/টিসি