চট্টগ্রাম: বৈশ্বিক মহামারি করেনার মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২১-২১ অর্থবছরে ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৩ টিইইউ’স (২০ ফুটের একক) কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।
তিনি জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩০ টিইইউ’স আমদানি পণ্যের ও ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৬ টিইইউ’স রফতানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে।
সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে বন্দর জেটি ও বহির্নোঙর মিলে জাহাজ হ্যান্ডলিং করেছে ৪ হাজার ৬২টি। এর আগের অর্থবছরে যা ছিল ৩ হাজার ৭৬৪টি। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ।
অর্থবছরে কনটেইনার, কার্গো ও শিপ হ্যান্ডলিংয়ে সাফল্যের জন্য বন্দর ব্যবহারকারী, বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।
তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলানিউজকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনাকালে দেশবাসীর জীবন ও জীবিকা রক্ষা, অর্থনীতি সচল রাখার লক্ষ্যে ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন বন্দর চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। করোনায় পৃথিবীর প্রায় সব দেশের অর্থনীতি স্থবির। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল বাংলাদেশ। আমাদের বন্দর চালু ছিল। অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত ছিল। যখন প্রথম দিকে কনটেইনার জট সৃষ্টি হয় তখন বেসরকারি অফডকে বেশ কিছু পণ্য খালাসের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। বন্দর সচল রাখতে যখন যা প্রয়োজন ছিল সরকার তা করেছে। এসব কারণেই আমাদের প্রবৃদ্ধি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কনটেইনারি হ্যান্ডলিংয়ের জন্য আমরা কি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করেছি। আমাদের ইয়ার্ডে স্পেস বেড়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বেড়েছে। ওয়ানস্টপ সার্ভিস হয়েছে। অটোমেশন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে আমরা পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) চালু করতে পারবো আশাকরি। তখন আমাদের বছরে আরও ৪ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং বাড়বে। বে টার্মিনালের কাজও গতি পাচ্ছে। সব মিলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে আমরা সচেষ্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২১
এআর/টিসি