চট্টগ্রাম: নগরায়নসহ বিভিন্ন কারণে চট্টগ্রাম শহরে হারিয়ে যাচ্ছে খেলার মাঠ। ভোর ও বিকালে হাঁটা, শরীরচর্চা এবং খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত জায়গা অপরিহার্য হলেও দিন দিন তা কমছে।
নগরে এখন মাত্র দুটি খেলার মাঠ আছে। একটি চকবাজারের প্যারেড মাঠ, অন্যটি কাজির দেউড়ির সংকুচিত আউটার স্টেডিয়াম।
এখানেই খেলতেন ফুটবলার আশীষ ভদ্র, ইকবাল খান, দীলিপ বড়ুয়া, সুহাস বড়ুয়াসহ আরো অনেকে। দেশের দ্রুততম মানব অ্যাথলেট মোশাররফ হোসেন শামীমও অনুশীলন করতেন আউটার স্টেডিয়ামে।
এদিকে আগ্রাবাদের জাম্বুরি মাঠ, লালদিঘি মাঠ, হালিশহরের চট্টগ্রাম আবাহনী মাঠ ও পলোগ্রাউন্ড, জমিয়তুল ফালাহ মাঠ, সিআরবি মাঠ সংরক্ষণ করার ফলে সেখানেও কমেছে খেলাধূলার সুযোগ।
১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মহাপরিকল্পনায় শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশকে মাথায় রেখে পুরো নগরের ১০ শতাংশ জায়গা উন্মুক্ত রাখার বিধান রাখা হয়েছিল। কিন্তু তখন যতগুলো মাঠ ছিল, এখন তাও নেই। গত কয়েক দশকে নগরে জনসংখ্যা বাড়লেও খেলার স্থানগুলো এভাবে হারিয়ে যেতে বসায় চট্টগ্রাম থেকে আগের মতো খেলোয়াড় উঠে আসছে না বলে ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি যৌথ প্রকল্পের আওতায় মতামত জরিপে অংশ নেওয়া শিশুরা জানায়, তারা এমন পার্ক চায়, যেখানে ঢুকতে কোনো টাকা লাগবে না। তারা চায় খেলার মাঠ, শিশুপার্ক, শরীরচর্চা কেন্দ্র, এলাকায় সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে উঠুক।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সহায়তায় পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) চট্টগ্রামে এক জরিপ চালায়। এতে দেখা যায়, ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু-কিশোর টেলিভিশন দেখে অবসর কাটায়।
করোনাকালে ঘরবন্দি অনেক শিশু। দরিদ্র শ্রেণির শিশুরা বুঝে না তার মর্ম। সুযোগ পেলেই জড়ো হয় মাঠে। নগরের প্যারেড মাঠে প্রতিদিন সকাল-বিকেলে দেখা যায় বল-ব্যাট নিয়ে তাদের ছোটাছুটি। কখনও চলে ঝগড়া। পিছিয়ে নেই গ্রামাঞ্চলের শিশুরাও। সেখানে উন্মুক্ত মাঠে খেলা শেষে পুকুরে চলে ঝাঁপাঝাঁপিও।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২১
এসএস/এসি/টিসি