ঢাকা, সোমবার, ২২ পৌষ ১৪৩১, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫ রজব ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হালদার ১৫ কেজি ওজনের মরা কাতলা উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২১
হালদার ১৫ কেজি ওজনের মরা কাতলা উদ্ধার হালদা থেকে উদ্ধার করা কাতলা মাছ

চট্টগ্রাম: দক্ষিণ এশিয়ার কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা থেকে ১৫ কেজি ওজনের একটি মরা কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। মাছটির ওজন ১৫ কেজি, দৈর্ঘ্য ৪০ ইঞ্চি, উচ্চতা ১৩ ইঞ্চি, বয়স ৬+ বছর।

বড়শি দিয়ে মাছটি শিকার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাছটি উদ্ধার করেন।

সম্প্রতি ইউএনও মো. রুহুল আমিন বদলি হলে শাহিদুল আলম যোগ দেন।  

শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাতে মেখল ইউনিয়নের মোজাফফরপুর এলাকা থেকে মাছটি উদ্ধার করা হয়। পরে শুক্রবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক মঞ্জুরুল কিবরিয়াকে খবর দেন। তিনি মাছটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যান।

অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রথমেই নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্বাগত জানাচ্ছি কারণ উনি হাটহাজারীতে জয়েন করার কয়েক দিনের মধ্যেই এরকম একটি মাছ উদ্ধার করার জন্য। হালদা নদীর মাছ এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য সবাইকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। হালদা নদীর মাছ রক্ষা করতে হলে হালদা পাড়ের মানুষকে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। হালদা পাড়ের জনপ্রতিনিধি, তরুণ ও যুব সমাজ এগিয়ে আসলেই হালদা নদী সত্যিকারভাবে রক্ষা পাবে।

তিনি বলেন, হালদা পাড়ের মাছ চোর এবং দূষণকারীদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে এবং এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং সামাজিকভাবে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।

ইউএনও মো. শাহিদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমি শহরে যাচ্ছিলাম হঠাৎ খবর আসে হালদা নদীতে মাছ শিকার হচ্ছে৷ সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে হালদায় অভিযান পরিচালনা করি। মাছ উদ্ধার করতে পারলেও শিকারিরা পালিয়ে যায়। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিতে মাছটি হস্তান্তর করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২১
এমএম/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।