ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জীবনের নিরাপত্তা চান ব্যবসায়ী পরিবার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২১
জীবনের নিরাপত্তা চান ব্যবসায়ী পরিবার

চট্টগ্রাম: জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শফিউল আলম চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ী ও তার পরিবার।  

শনিবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে  সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কোরিয়ান ইপিজেডের ব্যবসায়ী মো. শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, গত ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সরোয়াতলী ইউনিয়নের বেঙ্গুরা গ্রামের সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং লিডার জাহেদুল আলম রাশেদ ও আরিফুল হাসান রুবেলের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আমার বাড়ির বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙে, গাছপালা কেটে ফেলে।

আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে গুরুতর জখম করে। এরপর ৮ নভেম্বর গভীর রাতেও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়।  এসময় তাদের চাহিদা মাফিক চাঁদা দিতে ফের অপারগতা প্রকাশ করলে তারা আমার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এসময় আমাকে রক্ষা করার জন্য আমার স্ত্রী আসলে তাকেও মাথায় আঘাত করে, আমার ছেলে ইমন ও কন্যা সানজিদা নুরকেও শারীরিকভাবে হেনস্থা করে।  

তিনি বলেন, তাদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা শহরে চলে আসার পথেও ৯ নভেম্বর তৃতীয় বারের মতো সিএনজি থেকে নামিয়ে আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে এবং আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে। এসব বিষয়ে কয়েকদফা থানায় গেলেও মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে বোয়ালখালী থানা পুলিশ। যার ফলে ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। পরে বোয়ালখালী থানা পুলিশ রাশেদ ও রুবেলসহ কয়েকজনের নামে মামলা নিলেও ৮ মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও মামলার চার্জশিট দিতে পারেনি। অপরদিকে আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করার জন্য হস্তান্তর করেন। পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) কাজী এনায়েত কবীর সেই বছরের ৩১ ডিসেম্বর  তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে জাহেদুল আলম রাশেদ, আরিফুল হাসান রুবেল গংয়ের সংশ্লিষ্টতা পায়। পরে এ মামলায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাজারি করলেও অদৃশ্য কারণে পুলিশ গ্রেফতার করছে না।  

এ ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, পবিত্র ঈদ উল আজহা সন্নিকটে চলে এসেছে। তারা এখন আবারও হুমকি দিচ্ছে। ঈদের আগে তাদের টাকা দিতে হবে। না হলে আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশ করবে। যার কারণে তাদের ভয়ে গ্রামে যেতে পারছি না। ওয়ারেন্ট থাকার পরও তাদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ।  
ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করে  পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তিনি।
 
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য শফিউল আলম চৌধুরীর জয়নাব বেগম, কন্যা সানজিদা নুরম পুত্র সাইফুল আলম ইমনসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২১
এমএম/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।