চট্টগ্রাম: ইতিহাস চর্চার পথিকৃৎ অধ্যাপক ড. আবদুল করিমের সৃষ্টিকর্ম ইতিহাসে নতুন উপাদান খোঁজার খোরাক। তার অসীম তথ্যভাণ্ডার থেকে মানুষের জানার আগ্রহ তৈরি করে।
চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) আয়োজিত ‘অধ্যাপক ড. আবদুল করিম: একজন বহুমুখী পন্ডিতের গল্প’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন আলোচকরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল করিমের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সিআইইউ কর্তৃপক্ষ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আবদুল মোমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী, ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক অমিত দে, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আরেক অধ্যাপক ড. সুতপা সিনহা, শিলং এর নর্থ ইস্ট্রার্ন হিল ইউনিভার্নিটির ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহ নূরুর রহমান, ঢাবির ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. এম দেলোওয়ার হোসাইন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শাহনেওয়াজ, চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সিআইইউর ট্রাস্টি সৈয়দ মাহমুদুল হক এবং দেশ বিদেশের একাধিক শিক্ষক ও তরুণ গবেষকরা অংশ নেন।
এসময় বক্তারা বলেন, তার ইতিহাস চর্চায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা যেমন ঠাঁই পেয়েছে, তেমনি শিলালিপি, মসলিন কাপড়, বাংলায় ইংরেজদের গোড়াপত্তনসহ অনেক অজানা তথ্য উঠে এসেছে।
সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, তিনি ছিলেন পরিশ্রমী ও নিরহংকারী। অর্হনিশ কাজ করে যাওয়া স্মরণীয় এই গবেষককে বয়স কখনই আবদ্ধ করতে পারেনি।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাবি ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আবদুল মোমিন চৌধুরী এই গবেষকের বহু মৌলিক সৃষ্টি ইতিহাস চর্চার ক্রমবিকাশের দ্বার উন্মোচিত করতে অবদান রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২১
এমএম/টিসি