ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোগী: ৫ দিনের চেষ্টায় যোগাড় হলো ‘অ্যামফোটেরিসিন-বি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২১
চট্টগ্রামে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোগী: ৫ দিনের চেষ্টায় যোগাড় হলো ‘অ্যামফোটেরিসিন-বি’

চট্টগ্রাম: পাঁচ দিনের চেষ্টায় যোগাড় হয়েছে চট্টগ্রামে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে’ আক্রান্ত রোগীর সেই দুর্লভ ইনজেকশন ‘অ্যামফোটেরিসিন-বি’। ইনজেকশন পাওয়ার পর শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুর থেকে চিকিৎসা শুরু করেছেন চিকিৎসকরাও।

 

রোগীর ছেলে মো. বেলাল হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, গত ৫ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে এই ওষুধের ব্যবস্থা করেছি। মাত্র ২২ ডোজ যোগাড় করা সম্ভব হয়েছে।

প্রতিটি ডোজের দাম পড়েছে ১৫ হাজার টাকা। চিকিৎসকরা বলেছেন আরও ৫৩ ডোজ লাগবে। সব জায়গায় খোঁজ খবর নিচ্ছি। আল্লাহ সহায় থাকলে হয়তো বাকি ডোজগুলোও ব্যবস্থা করতে পারবো।  

বেলাল বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরা সবাই আন্তরিক। সকলেই সহযোগীতা করছেন কিভাবে আমার মাকে সুস্থ করে তোলা যায়।  

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত এই রোগী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলেছে রোগীটির।  

ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ যতটুকু ছড়িয়েছে তা যাতে আর না ছড়ায় সে চেষ্টা চলছে। অ্যামফোটেরিসিন-বি ইনজেকশনটি প্রতিদিন ৫ ডোজ করে ১৫ দিন পর্যন্ত দিতে হবে। আপাতত সামন্য কিছু ইনেজেকশন যোগাড় হয়েছে। যা যোগাড় হয়েছে তা দিয়ে আগামী ৪ দিন চলবে।  

তিনি বলেন, রোগীর চিকিৎসায় একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রতিদিন রোগীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।   

এরআগে গত ২৫ জুলাই শরীরে করোনা পরবর্তী বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয় এই নারী। পরে চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা করে রোগীর শরীরে মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রয়েছে বল নিশ্চিত হন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২১
এমএম/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।