চট্টগ্রাম: পাঁচ দিনের চেষ্টায় যোগাড় হয়েছে চট্টগ্রামে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে’ আক্রান্ত রোগীর সেই দুর্লভ ইনজেকশন ‘অ্যামফোটেরিসিন-বি’। ইনজেকশন পাওয়ার পর শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুর থেকে চিকিৎসা শুরু করেছেন চিকিৎসকরাও।
রোগীর ছেলে মো. বেলাল হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, গত ৫ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে এই ওষুধের ব্যবস্থা করেছি। মাত্র ২২ ডোজ যোগাড় করা সম্ভব হয়েছে।
বেলাল বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরা সবাই আন্তরিক। সকলেই সহযোগীতা করছেন কিভাবে আমার মাকে সুস্থ করে তোলা যায়।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত এই রোগী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলেছে রোগীটির।
ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ যতটুকু ছড়িয়েছে তা যাতে আর না ছড়ায় সে চেষ্টা চলছে। অ্যামফোটেরিসিন-বি ইনজেকশনটি প্রতিদিন ৫ ডোজ করে ১৫ দিন পর্যন্ত দিতে হবে। আপাতত সামন্য কিছু ইনেজেকশন যোগাড় হয়েছে। যা যোগাড় হয়েছে তা দিয়ে আগামী ৪ দিন চলবে।
তিনি বলেন, রোগীর চিকিৎসায় একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রতিদিন রোগীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এরআগে গত ২৫ জুলাই শরীরে করোনা পরবর্তী বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয় এই নারী। পরে চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা করে রোগীর শরীরে মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রয়েছে বল নিশ্চিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২১
এমএম/টিসি