ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চিকিৎসা খাতে আরও বরাদ্দ চায় চবি মেডিক্যাল সেন্টার

মোহাম্মদ আজহার, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
চিকিৎসা খাতে আরও বরাদ্দ চায় চবি মেডিক্যাল সেন্টার ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৮ লাখ টাকা। যেখানে ওষুধ ব্যয়ে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা।

অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে যথাযথ চিকিৎসা পান না শিক্ষার্থীরা।  

২০২০-২১ অর্থবছরেও এ খাতে বরাদ্দ ছিলো ৫৫ লাখ টাকা।

সেখানে ওষুধের ব্যয় ছিলো ২৮ লাখ টাকা। মেডিক্যাল সেন্টারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, চবির মেডিক্যাল সেন্টারে সকল রোগের ঔষধ নাপা বা প্যারাসিটামল।

অভিযোগ রয়েছে, ডিউটির সময়ও মেডিক্যালে থাকেন না দায়িত্বরত চিকিৎসকরা। ছাত্রদের জন্য পুরুষ ডাক্তার এবং ছাত্রীদের জন্য মহিলা ডাক্তারের ব্যবস্থা থাকলেও ডাক্তারদের অনুপস্থিতিতে কখনও ছাত্রীদের যেতে হচ্ছে পুরুষ ডাক্তারের কাছে, আবার কখনো ছাত্রদের যেতে হচ্ছে মহিলা ডাক্তারের কাছে। তাই অনেক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি কোমরের ব্যথার চিকিৎসার জন্য মেডিক্যালে যাই। তখন মহিলা ডাক্তার ছিলো না। দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করি। একপর্যায়ে মেডিক্যালের একজন কর্মচারীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ম্যাডাম খেতে গেছেন, আসতে দেরি হবে। অথচ তখন ছিল ডাক্তারের ডিউটির সময়।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, আমার ইমার্জেন্সি চিকিৎসার প্রয়োজন ছিলো। তাই শেষ পর্যন্ত পুরুষ ডাক্তারের কাছে যাই। তিনি যে প্রেসক্রিপশন দিয়েছেন, তাতে লেখা নাপা এবং পেট ব্যথার ওষুধ। পরে জানতে পারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে ওষুধ হিসেবে নাপা দেওয়া হয়। তাছাড়া বেলা ১২টার পর মেডিক্যালে গেলে ডাক্তার থাকে না প্রায় সময়। অথচ ১২টার পর অনেকের ক্লাস শেষ হয়। তাই সবাই ঐ সময় মেডিক্যাল সেন্টারে যায়।

লোকপ্রশাসন বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী তানবীরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, অনেকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলাম। অন্য ওষুধের প্রেসক্রিপশন দিলেও মেডিক্যাল থেকে শুধু নাপা-প্যারাসিটামল দেওয়া হয়। এ খাতে এত বরাদ্দের পরও উন্নতমানের চিকিৎসা তো দূরের কথা প্রাথমিক ট্রিটমেন্টও যথাযথভাবে পাওয়া যায় না।

মেডিক্যাল সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়ে থাকি। যার যে ওষুধ প্রয়োজন, সেটাই দেওয়া হয়। সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল থেকে সরবরাহ করা সম্ভব না। তবে কমবেশি সকল প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়।  

ডা. আবু তৈয়ব বলেন, আমাদের ৪ জন চিকিৎসক নিয়মিত দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ডিউটিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা এখনো তরুণ, তাই অনেক সময় আমরা তাদের শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কম দেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি ওষুধের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়, তাহলে সব ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
এমএ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।