ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মধ্যরাতের ভূমিকম্পে নগরে আতঙ্ক

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২১
মধ্যরাতের ভূমিকম্পে নগরে আতঙ্ক ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম: কেউ ঘুমে, কেউ ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন আর কেউবা বাসায় ফিরেছেন। এমন সময় হঠাৎ দুলতে থাকে বাসভবন।

এতে সৃষ্টি হয় আতঙ্ক।  

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ৩২ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

প্রায় দেড় মিনিট ধরে কম্পন চলাকালে বিভিন্ন এলাকার মানুষ বাসা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনির শব্দ শোনা যায় এসময়। এর পরপরই বজ্রপাতের বিকট আওয়াজে ঘুম ভাঙে অনেকের।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার উত্তরাংশ। মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলা।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১৪ কিলোমিটার গভীরে এ কম্পনের উৎপত্তি হয়। এজন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে এ কম্পন তুলনামূলক বেশি অনুভূত হয়েছে।  

এদিকে ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নগরে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) পরিচালিত ‘আর্থকোয়াক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ সেন্টার’ এর (ইইআরসি) গবেষণায় জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরের ৭৮ শতাংশ ভবনই ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ৪১ ওয়ার্ডের এক লাখ ৮২ হাজার ভবনের মধ্যে এক লাখ ৪২ হাজারই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল ভবন এবং বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো।

৮ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে এসব ভবন ও বিদ্যুৎকেন্দ্র ধসে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষণায় দেখা গেছে, নগরের ৪১ ওয়ার্ডে মোট এক হাজার ৩৩টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ৮ দশমিক ৫ রিখটার স্কেলের ভূমিকম্প হলে এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে সাতশ ৩৯টি পুরোপুরি ধ্বংস হবে। এছাড়া নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ১৩টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মধ্যে আটটিই ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয় ওই গবেষণায়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২১ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।