ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সুপার, জেলারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হাজতিকে নির্যাতনের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
সুপার, জেলারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হাজতিকে নির্যাতনের অভিযোগ প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত মো. শামীম নামের এক হাজতিকে নির্যাতনের অভিযোগে সিনিয়র জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলার ও সুবেদারসহ পাঁচ কারা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে আদালতে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহানের আদালতে হাজতির স্ত্রী পারভিন আকতার হিরা এ আবেদন দাখিল করেন।

অভিযুক্তরা হলেন- চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম, জেলার দেওয়ান তারিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার মো. সাইমুর, আইজি প্রিজনের গোয়েন্দা কারারক্ষী সবুজ দাশ এবং সুবেদার মো. এমদাদ হোসেন।

মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, পারভিন আকতার হিরার স্বামী মো. শামীম দায়রা মামলা ১৮/২০০৬ এর সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে আছেন।

শামীম প্রায় সময় শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কারাগারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ১৭ জুলাই পর্যন্ত  কারাগারের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে অর্থাৎ হাসপাতালে ছিলেন। অভিযুক্তরা কারা অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিকভাবে নাজেহাল ও মারধর করেন। সঠিক সময়ে খাবার না দেওয়ার প্রতিবাদ করায় গত ১২ জুলাই জেলার তারিকুল শামীমকে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর ১৭ জুলাই ভোরে এমদাদ, সবুজ ও সাইমুর গিয়ে তাকে কারা অভ্যন্তরে একটি আমগাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। পরে জেলারের অফিসে নিয়ে যাওয়া হলে জেলার তারিকুল বলেন, শালা এখনও মরেনি, মরিলে এক কলম লিখে দেব, কিছুই হবে না। একথা বলে জেলারও আবার শামীমকে মারধর করেন। এরপর সন্ধ্যা সাতটার দিকে শামীমকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২২ আগস্ট কুমিল্লা কারাগার থেকে শামীম টেলিফোনে স্ত্রীকে বিষয়টি জানান।

মামলার আবেদনকারী পারভিন আকতার হিরা বাংলানিউজকে বলেন, আমার স্বামী মো. শামীমকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় নানাভাবে নির্যাতন ও মারধর করা হয়েছে। এটার বিচার চেয়ে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত আগামী ৩০ নভেম্বর আদেশের জন্য রেখেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।