ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মন্ত্রীর আশ্বাসে বাড়ি ফিরলেন সেই ৪০ ভিক্ষুক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২১
মন্ত্রীর আশ্বাসে বাড়ি ফিরলেন সেই ৪০ ভিক্ষুক

চট্টগ্রাম: সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করা ৪০ ভিক্ষুকের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন  স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার (২৭ নভেম্বর) নগরের আন্দরকিল্লা পুরাতন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ভবনে একটি অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ভিক্ষুকরা গাড়ি ঘিরে ধরে, তাদের চাকরি ফিরে পেতে দাবি জানান।

পরে মন্ত্রীর আশ্বাসে তারা সরে দাঁড়ান।  

জানা গেছে, পুরাতন সিটি করপোরেশন ভবনে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইন্সটিটিউটের আয়োজনে চসিক কাউন্সিলরদের ‘সিটি কর্পোরেশন প্রশাসন অবহিতকরণ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে আসার সংবাদে সকাল থেকে সেখানেই অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন ভিক্ষুকরা।

পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পুরাতন নগর ভবন থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মহোদয় বের হওয়ার সময় গাড়ির সামনে গিয়ে আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন দারোয়ান ও পুলিশ আমাদের টানাটানি করছিল। পরে দুই মিনিট কথা বলার অনুরোধ জানালে মন্ত্রী মহোদয় রাজি হন। স্যার আমাদের কি সমস্যা জানতে চান। পরে আমাদের সমস্যার কথা বলেছি। আমাদের চাকরি ফিরে পেতে স্যারের কাছে একটি আবেদনপত্রও দিয়েছি। স্যার আমাদের আবেদনটা গ্রহণ করেছেন ও বিষয়টি স্যার দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

এর আগে চাকরি ফিরে পেতে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চসিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপির কাছে যান এই ৪০ ভিক্ষুক। কিন্তু কোনো সুরাহা না হওয়ায় মন্ত্রীর শরণাপন্ন হন তারা।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর আন্দরকিল্লা পুরাতন নগর ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর চাকরি পাওয়া ৪০ জন ভিক্ষুক। ২০১০ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর শুরু হলে নগরীকে ভিক্ষুকমুক্ত করার অংশ হিসেবে ২৫০ জন ভিক্ষুককে ৪ হাজার ৫শ টাকা করে ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এছাড়া ৪৬ ভিক্ষুককে নিয়োগ দেওয়া হয় নগরীর মোড়গুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য। প্রথমে তাদের সিটি করপোরেশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে ৬ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হতো। নয় বছরে চার দফায় বেতন বেড়ে ১০ হাজার ৭শ টাকা হয়। ৪৬ জনের মধ্যে দুইজন সুস্থ সবল সুপারভাইজার ছিলেন ও চারজন মারা যান। অবশিষ্ট ৪০ জন ভিক্ষুক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করতেন। কিন্তু কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ার অভিযোগে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আদেশ দেয় চসিক।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২১
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।