ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তিনটি বাজার ‘পলিথিনমুক্ত’ ঘোষণা চসিক মেয়রের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
তিনটি বাজার ‘পলিথিনমুক্ত’ ঘোষণা চসিক মেয়রের চকবাজার, কাজীর দেউড়ি ও কর্ণফুলী মার্কেটকে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে পলিথিনমুক্ত ঘোষণা

চট্টগ্রাম: আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নগরের ৩টি প্রধান বাজারে পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংসের অন্যতম প্রধান উপকরণ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

পলিথিন মুক্তকরণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সোমবার (২৯ নভেম্বর) সকালে পৃথক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশগুলোতে সভাপতিত্ব করেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক ও নুর মোস্তফা টিনু।

মেয়র বলেন, নগরের পরিবেশদূষণ ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারী উপাদান পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাতে নগরবাসীর সহযোগিতা একান্ত অপরিহার্য।

চকবাজার, কাজীর দেউড়ি ও কর্ণফুলী মার্কেটকে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে পলিথিনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নগরবাসীর সহযোগিতায় অন্যান্য কাঁচাবাজার, দোকানপাটগুলো এর আওতায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মাইকিং, প্রচারপত্র বিলির মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পরবর্তীতে এ নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানাসহ কঠোর আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।  

পলিথিনের ক্ষতির নানা দিক তুলে ধরে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে পলিথিনের স্তরের কারণে জাহাজ চলাচলে যেমন বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি নদীর গভীরতা রক্ষার জন্য যে ড্রেজিং করার প্রয়োজন তা-ও প্রতিবন্ধকতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্ণফুলী বাঁচাতে না পারলে চট্টগ্রাম বন্দর অচল হয়ে যাবে এবং এর কুপ্রভাব সারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেবে।  

তিনি বলেন, পলিথিন শুধু জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে না, এর কারণে মাটির উর্বরতা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন রোগব্যাধির সৃষ্টি হচ্ছে। সে কারণে দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রামকে পরিবেশবান্ধব নগর হিসেবে গড়তে, কর্ণফুলী নদীরক্ষার মাধ্যমে বন্দর সচল রাখতে এবং জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে নগরবাসীকে পরিত্রাণ পেতে হলে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে বিকল্প হিসেবে পাট বা কাপড় বা নন ওভেন ফেব্রিক্সের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করে সবাইকে সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মো. নুরুন্নবী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় অধিদফতর অনেক কার্যক্রম হাতে নিলেও সিটি করপোরেশন কর্তৃক পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে নগরবাসীর দুর্ভোগ অনেক লাঘব হবে এবং পরিচ্ছন্ন নগর পাবে নগরবাসী।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম বলেন, পলিথিন আসার আগে বাজারে মানুষ থলে নিয়ে যাওয়ার যে অভ্যাস ছিল তা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে পারলে পরিবেশদূষণকারী পলিথিনের অভিশাপ থেকে আমরা মুক্ত হতে পারবো।

চসিকের পরিবেশ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন কাউন্সিলর নুরুল হক, শাহেদ ইকবাল বাবু,  মো. শফিকুল ইসলাম, মো. জাবেদ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, হুরে আরা বেগম, শাহীন আক্তার রোজি, রুমকী সেনগুপ্ত, তসলিমা বেগম (নুরজাহান), জাহানারা বেগম পপি, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, আমিনুল হক রঞ্জু, মো. নুরুন্নবী, কামাল উদ্দিন, একেএম হাবিবুল্লাহ, আব্দুল জলিল, শেখ হারুনুর রশীদ, মো. সোলায়মান, আব্দুল হাকিম, কায়সার আহমদ, জাফর আহমদ, ওসমান গণি, মো. মুসা খান, হাসান মাহমুদ, হাসিনা আকতার টুনু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।