ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চসিকের উন্নয়নকাজে জাপানের সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২১
চসিকের উন্নয়নকাজে জাপানের সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান  জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

চট্টগ্রাম: জাপান বিশ্বের আধুনিক প্রযুক্তি-অর্থনীতি সমৃদ্ধ দেশ। জাপানের মতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু সর্বদা বাংলাদেশের সঙ্গে থাকলে উন্নয়নযাত্রার গতি আরও ত্বরান্বিত হবে।

চসিকের সড়ক উন্নয়ন, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ অনেক উন্নয়নকাজ পরিচালিত হচ্ছে জাপানের সহায়তায়। আশাকরি চসিকের উন্নয়নকাজে জাপানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
 

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মেয়র এসব কথা বলেন।  

মেয়র জানান, চট্টগ্রাম পৃথিবীর অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক সমুদ্রবন্দর এবং এ বন্দরনগরী রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক হৃদপিণ্ড। চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রসারণ, বে-টার্মিনাল নির্মাণ, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, কর্ণফুলী তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ বাস্তবায়নের পথে। তাই চট্টগ্রামের গুরুত্বও বহুমাত্রিক। বিশ্বের সব প্রান্তে চট্টগ্রাম অপার সম্ভাবনাময় উর্বর অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে সমাদৃত।  

তিনি বলেন, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মধ্যে চট্টগ্রাম অন্যতম এবং শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী অবদান রাখছে। এখানে চসিকের পরিচালনায় ৬০টির বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৫০টির বেশি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া জাইকার সহযোগিতায় একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সেবামূলক অনেক কাজ করে যাচ্ছে। জাইকার অর্থায়নে অত্যাধুনিক ও প্রযুক্তিগত পদ্ধতিতে কনজারভেন্সি সেন্টার স্থাপনের ফলে বর্তমান ও ভবিষ্যতের দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব নগর হবার নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।  

মেয়র কাট্টলীর সাগর পাড়ে চসিকের অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ঠান্ডাছড়িতে রিভোকেশনাল জোন, রেলক্রসিং ওভার পাস নির্মাণ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন, কর্ণফুলী নদীর পাড়ে চর বাকলিয়ায় পর্যটন কেন্দ্র এবং শাহ আমানত ব্রিজ থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করার পরিকল্পনা আছে বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন এবং জাপানের ব্যবসায়ীরা চাইলে সেখানে বিনিয়োগ করতে পারেন বলে জানান।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশের বন্ধু। দুইদেশের বন্ধুত্ব কেবল পারস্পরিক স্বার্থের জন্য নয়, মূলত খাঁটি সহানুভূতিরই একটি অংশ। চট্টগ্রাম প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর একটি নগর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রশংসনীয়। আগামী ৫ বছরের মধ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে উন্নয়নের নতুন ধাপে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে। চট্টগ্রামকে ঘিরে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের হাব। এখানে পর্যটন শিল্পেরও অপার সম্ভাবনা রয়েছে।  

তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন প্রকল্পে জাপান সরকার জাইকার মাধ্যমে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে মত প্রকাশ করেন।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ হায়াকাওয়া ইউহো, ইতো ডিসওকি, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, মনিরুল হুদা, কামরুল ইসলাম, সুদীপ বসাক, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, নগর পরিকল্পনাবিদ আব্দুল্লাহ আল ওমর প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২১ 
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।