চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর গত সাড়ে ৫ বছরে আর কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি চবি ছাত্রলীগের।
২০১৫ সালের ২০ জুলাই মোহাম্মদ আলমগীর টিপুকে সভাপতি এবং ফজলে রাব্বি সুজনকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। কমিটি গঠনের ৭ মাসের মাথায় প্রথম দফায় কমিটি স্থগিত করা হয়।
১৯ মাস পর ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই চবি ছাত্রলীগের দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর আড়াই বছর পর গত ৯ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য আগ্রহী নেতা-কর্মীদের জীবনবৃত্তান্ত চেয়ে বিবৃতি দেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ২০১ পদের বিপরীতে আগ্রহী ১ হাজার ৪০০ জনের জীবনবৃত্তান্ত জমা হওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ইকবাল হোসেন টিপু।
তিনি বলেন, জীবনবৃত্তান্তগুলো যাচাই-বাছাইয়ের পর যারা যোগ্য তাদের কমিটিতে রাখা হবে। বিতর্কিত কেউ কমিটিতে স্থান পাবে না। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২০১ সদস্যের কমিটি ঘোষণার পরপরই বিভিন্ন আবাসিক হল ও অনুষদগুলোর কমিটি গঠনের চিন্তাভাবনা রয়েছে আমাদের।
রেজাউল হক রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, করোনা মহামারির কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে প্রায় ১৪শ’ জনের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০১ সদস্যের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, সংগঠনের সুনাম নষ্ট করেছে, চাঁদাবাজির দায়ে অভিযুক্ত এবং জামায়াত শিবিরের অনুপ্রবেশকারী কেউ যাতে এ কমিটিতে যাতে আসতে না পারে, আমরা সেদিকে নজর রাখব। কমিটিতে আওয়ামী পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
এমএ/টিসি