ঢাকা, শনিবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঘুষ না পেয়ে রোগীর স্বজনকে পেটালেন হাসপাতালের আনসার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
ঘুষ না পেয়ে রোগীর স্বজনকে পেটালেন হাসপাতালের আনসার

চট্টগ্রাম: ঘুষ না দেওয়ায় রোগীর স্বজনদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দায়িত্বরত মো. করিম নামে এক আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে চমেক হাসপাতালে তৃতীয় তলায় ১৩ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- মো. হানিফ (৩৬) ও মো. রাসেল (২৭)। তারা নগরীর আতুরার ডিপোর তাহেরাবাদ আমান মিস্ত্রীর বাড়ির মো. রফিকের ছেলে।

তারা সম্পর্কে আপন দুই ভাই।  

মারধরের শিকার দুই ভাইকে হাসাপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়।

জানা যায়, হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মারধরের শিকার দুই ছেলের মা রিজিয়া বেগম। মায়ের দেখাশুনা করার জন্য ওয়ার্ডে বিভিন্ন সময় একাধিকবার প্রবেশ করতে হয় দুই ভাইকে। কিন্তু প্রতিবারই গেইটে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কর্তব্যরত আনসার সদস্য করিম। বার বার বাধার সম্মুখীন হওয়ায় শেষমেশ মঙ্গলবার বিকেলে আনসার সদস্যকে ২০ টাকা ঘুষ দিয়ে ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন ছোট ভাই রাসেল। কিন্তু মায়ের জন্য পানি নিতে তাকে হাসপাতালের নিচে নামতে হয়। পানি নিয়ে পুনরায় ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে চাইলে আবারও ২০ টাকা ঘুষ দাবি করে ওই আনসার সদস্য।  রাসেল টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, ওয়ার্ডে অন্য একটি রোগীর স্বজনদের ঢুকতে দিলেও তাকে দীর্ঘক্ষণ বাহিরে দাঁড় করিয়ে রাখে। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর রাসেল জোর করে ঢুকতে চেষ্টা করলে আনসার করিম তাকে বের করে দরজা বন্ধ করে দেন। এসময় আনসার করিমের সঙ্গে রাসেলের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই আনসার সদস্য রাসেলকে মারধর শুরু করেন। মারধর দেখে রাসেলের বড় ভাই মো.হানিফ এবং তার ভগ্নিপতি নাছির এগিয়ে এসে দুই জনকেই সরিয়ে দেন। কিন্তু এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আরও ৭-৮ জন আনসার সদস্য ওয়ার্ডে এসে রাসেলকে মারধর শুরু করে। এসময় সঙ্গে থাকা বড় ভাই ও ভগ্নিপতিরা বাধা দিলে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।

ভুক্তভোগীর ভগ্নিপতি নাছির বলেন, রাসেলের কাছে ২০ টাকা ঘুষ দাবি করে ওই আনসার সদস্য। না দেওয়ায় তাকে ভিতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাসেলকে মারধর করে। আমরা প্রথমবার তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসলে পুনরায় আরও কয়েকজন আনসার সদস্য নিয়ে তাকে মারতে আসে। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদেরও মারধর করে।

এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের দায়িত্বরত  আনসার কমান্ডার মো.খাইরুল বাংলানিউজকে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তবে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ওয়ার্ডে ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে দুই জনই মারামারিতে জাড়ায়।

এ বিষয়ে জানতে চমেক হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান এবং এ ব্যাপারে হাসপাতালে পরিচালক সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবিরকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
এমআর/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।