ঢাকা, শনিবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জিন্নাহর দ্বি-জাতি তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ: ইডিইউ উপাচার্য 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
জিন্নাহর দ্বি-জাতি তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ: ইডিইউ উপাচার্য  পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের সম্মান জানায় ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি।

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) সূর্যোদয়ের পরপরই জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান।  

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খানের নেতৃত্বে ইডিইউর সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমবেত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে।

এ সময় পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ হারানো সকল শহীদকে সম্মান জানানো হয়। এরপর উপস্থিত সকলে বেলা ১১টায় কর্তৃপক্ষ আয়োজিত সভায় মিলিত হন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধকালীন আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের অন্যতম সংগঠক, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিজয়লাভ শুধু আমাদের নয়, একইসঙ্গে পুরো বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা। যে তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষকে বিভক্ত করে দেওয়া হয়, জিন্নাহর সেই দ্বিজাতি তত্ত্বকে বাংলাদেশে ভুল প্রমাণিত করেছে। ধর্মের ভিত্তিতে কোন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না, এই সত্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ। বাঙালির এ যুদ্ধ কোন ধর্মের বিরুদ্ধে ছিলো না, বরং একটি অত্যাচারী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিজেদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম ছিলো মুক্তিযুদ্ধ।

তিনি যুক্তরাজ্যে যুদ্ধকালীন তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, টাইমস পত্রিকায় অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের রিপোর্ট সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিলো, ফলে আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভূতি আমরা পেয়েছিলাম। বিদেশে জনমত গঠন করতে আমরা প্রত্যেক জায়গায় গিয়ে সভা-সমাবেশ করেছি, পত্রিকা প্রকাশ করে বিলি করেছি। ফান্ড গঠন করেছি বাংলাদেশে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। প্রত্যেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছিলেন আমাদের পক্ষে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী পঞ্চাশ বছরে আমাদের অনেক অর্জনের পাশাপাশি অনেক ব্যর্থতাও রয়েছে। সেইসব ব্যর্থতাকে সাফল্যে রূপদানের লক্ষ্যে আমাদেরকে সামনের দিনগুলোতে কাজ করে যেতে হবে। স্বাধীনতার অর্থ নিজের পায়ে দাঁড়ানো। বাংলাদেশের অভীষ্ট্য লক্ষ্য তা-ই।

সহকারী অধ্যাপক তাবাসসুম চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. মু. রকিবুল কবির ও স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।

বক্তব্য দেন সহযোগী অধ্যাপক ড. রাশেদ আল করিম, প্রক্টর আসাদুজ্জামান, প্রভাষক মিথিলা আফরিন, লাইব্রেরিয়ান তাহমিনা আফ্রাদ, অ্যাক্সিকিউটিভ শাহ মিজান।

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।