ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা কাপ গলফ টুর্নামেন্ট ঘিরে বর্ণিল ভাটিয়ারি গলফ ক্লাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২২
বসুন্ধরা কাপ গলফ টুর্নামেন্ট ঘিরে বর্ণিল ভাটিয়ারি গলফ ক্লাব ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: ভাটিয়ারি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে (বিজিসিসি) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে বসুন্ধরা কাপ গলফ টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টকে ঘিরে গলফ ক্লাব এলাকাকে দৃষ্টিনন্দন ব্যানার, ফেস্টুন, পতাকায় সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।

 

‘প্লে গলফ, লাইভ লং’ স্লোগানে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে টুর্নামেন্ট শুরু হয়। শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হকের এয়ার অফিসার কমান্ডিং এয়ার ভাইস মার্শাল মো. জাহিদুর রহমান।

শাহীন গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল মো. জাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রথমবারের মতো ভাটিয়ারি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে টুর্নামেন্ট স্পন্সর করায় বসুন্ধরা গ্রুপকে স্বাগত জানাই। এ ধরনের একটি বড় শিল্পগ্রুপ যখন সহযোগিতা করে তখন আশা করি বাংলাদেশে গলফের আরও উন্নতি হবে। আমি মনে করি এ ধরনের টুর্নামেন্ট  বসুন্ধরা গ্রুপ নিয়মিত করবে। গলফে আরও অনেক বড় অবদান রাখবে। নবীন গলফার উৎসাহিত হবে, টুর্নামেন্টে যোগদান করবে। আশা করি বাংলাদেশ গলফে অনেক নাম করবে বিশ্বে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক বলেন, এ আয়োজনের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বসুন্ধরা গ্রুপ বাংলাদেশের স্বনামধন্য অনেক বড় প্রতিষ্ঠান।  বসুন্ধরা গলফে এগিয়ে এসেছে এটি অত্যন্ত সুখকর বিষয়। চট্টগ্রামে চারটি গলফ ক্লাব আছে। বেশি ভাইব্রেন্ট দুইটি ক্লাব- ভাটিয়ারি ও শাহীন গলফ ক্লাব। এখানে অনেক পুরনো গলফার আছেন যারা নিয়মিত আসেন। নতুন গলফার তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী মিলে নতুন গলফার তৈরি হচ্ছে। তবে অন্যান্য খেলার তুলনায় গলফের প্রচার কম। আরও বেশি হওয়া উচিত। স্পন্সরদের দায়িত্ব আছে। আন্তর্জাতিক মানের গলফার সিদ্দিকুর রহমানকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। এখান থেকে তাঁর মতো গলফার বেরিয়ে আসবেন আশাকরি। এর জন্য পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। বসুন্ধরার মতো সবাই এগিয়ে আসবে এ প্রত্যাশা করি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের পাবলিক রিলেশন ডিপার্টমেন্টের ডিজিএম স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) গোলাম মোস্তফা, ম্যানেজার নৌবাহিনীর লে. (অব.) আবদুল মান্নান, বসুন্ধরা গ্রুপের এজিএম ( ব্রান্ড, সেক্টর বি) সাইফুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।

টুর্নামেন্ট চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশন নির্দেশনা, গাইডলাইন দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে টুর্নামেন্ট হচ্ছে।  গলফ ব্যয়বহুল খেলা। প্রচুর সময় দেওয়ার প্রয়োজন হয় যদি পেশাদার হতে হয়। নতুন খেলোয়াড় উঠে আসছে কেডি অ্যান্ড বল বয় থেকে। ভালো ভালো প্লেয়ার উঠে আসছে। ভারত, পাকিস্তান, ঢাকায়ও কেডি বয় থেকে ভালো প্লেয়ার উঠে আসছে। পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। আশাকরি, সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহযোগিতা পেলে ক্রিকেট ফুটবলের মতো গলফেও ভালো করতে পারবে। বসুন্ধরা গ্রুপ গলফ টুর্নামেন্টে স্পন্সর করায় আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান তিনি।

কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাত করেন মাওলানা শাহ আলম। বেলা ২টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করবেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।

বিজিসিসির সিইও লে. কর্নেল (অব.) মো. তৌফিকুল ইসলাম জানান, বসুন্ধরা কাপ গলফ টুর্নামেন্টে নারী, পুরুষ ও জুনিয়র মিলে ২২২ জন খেলোয়াড় অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ১৩ জন বিদেশি। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধিসহ আনুষঙ্গিক কারণে অনেক খেলোয়াড়কে সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।