চট্টগ্রাম: তথ্য-সংস্কৃতি বিকাশ এবং তথ্য ইকোসিস্টেম বিনির্মাণের মাধ্যমে ডিজিটাল কাস্টমসের সম্প্রসারণ করা গেলে চলমান কোভিড পরিস্থিতিতে স্বল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কার্যক্রম সহজে সম্পাদন করা সম্ভব হবে।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস আয়োজিত সেমিনারে সভায় বক্তারা এ অভিমত দেন।
তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তথা আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে কাস্টমস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, দেশীয় শিল্প সুরক্ষা, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ কাস্টমসের গুরুত্ব অপরিসীম।
এবারের কাস্টমস দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘তথ্য সংস্কৃতি বিকাশ এবং তথ্য ইকোসিস্টেম বিনির্মাণের মাধ্যমে ডিজিটাল কাস্টমসের সম্প্রসারণ’।
বিকেল ৩টায় কাস্টম হাউসের মিলনায়তনে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কর আপিল ও অব্যাহতি) মো. আবদুল মজিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কর কমিশনার (অঞ্চল-১) সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান, উইম্যান চেম্বার সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী।
সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের আহ্বায়ক ও কাস্টমস এক্সাইজ ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির মহাপরিচালক মো. মাহবুবুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. আবু নুর রাশেদ আহম্মেদ।
সেমিনারে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের ওপর নির্মিত বিশেষ তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) ১৮২টি সদস্য দেশ দিবসটি উদযাপন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২২
এআর/টিসি