ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেট্রোরেল বাস্তবায়নে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২
মেট্রোরেল বাস্তবায়নে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: নগরে অতীতে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকালে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ ছিল। প্রকল্প বাস্তবায়নের শেষে এসে সেটি আরও প্রকট হয়।

 

জায়গা নির্বাচনেও দেখা গেছে সমন্বয়হীনতা। এটি বন্দরের জায়গা, কাউকে দেওয়া যাবে না।

এটি রেলওয়ের জায়গা, সিটি করপোরেশনের জায়গা এ জায়গা আমাদের, এখানে আমাদের প্রকল্প রয়েছে। এটি দেওয়া যাবে না। এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

মেট্রোরেল বাস্তবায়নে যেন সেই সমন্বয়হীনতা না হয় তার ওপর জোর দিয়েছেন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম নগরের পরিবহন মাস্টার প্ল্যানসহ মেট্রোরেলের সমীক্ষার জন্য প্রিলিমিনারি সার্ভে কাজ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে বক্তারা সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দেন।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল মালেক বলেন, কাজ করতে গেলে সমস্যা আসবে। সেটি চিহ্নিত করে সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে হবে। চট্টগ্রামকে সুন্দর করার জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে করতে হবে। এখানে যদি কোনো বিচ্যুতি ঘটে তাহলে সেটি আমাদের জন্য দুঃখজনক হবে। কারণে এখানে যারা আছেন সবাই খুবই অভিজ্ঞ। প্রাক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হবে। এর পর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাইয়ের কাজ শুরু হবে। জনগণ, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা কী চায় তার ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী ধাপে যেতে পারবো। এখানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কাজ করা খুব সোজা। অকাজ করতে গেলে কোনো বাধা নেই। ভালো কাজ করতে গেলেই সব বাধা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে সবার সমন্বয় প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম একটি সৌন্দর্যপূর্ণ শহর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন। চট্টগ্রামের সবদিকেই উন্নয়ন চলছে। চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের প্রয়োজন রয়েছে। উন্নয়ন করতে হলে আমাদের ভোগান্তি পোহাতেই হবে। জনভোগান্তি যাতে কম হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অপরিকল্পিত ভাবে পাহাড় কেটে যেভাবে ন্যাড়া করা হচ্ছে, ভূ-প্রকৃতির যে সৌন্দর্য সেটি আমরা একেবারেই ধ্বংস করে ফেলছি। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ৭ ফুট ভরাট হয়ে গেছে। কর্ণফুলী নদী আগামী ৫০ বছরে টিকে থাকবে কিনা আমার সন্দেহ হচ্ছে। কর্ণফুলী নদী না টিকলে বন্দরও টিকবে না। ১০০ বছরের পুরোনো বন্দর এটি। এটা রক্ষা করতে হলে কর্ণফুলী নদীকে আগে রক্ষা করতে হবে। যার জমিই হোক এটি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করতে দিতে হবে। আন্ডারগ্রাউন্ডলি মেট্রোরেল নিয়ে যেতে হবে। মূল শহর দিয়ে মেট্রোরেল নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। সমন্বয়হীনতা আমাদের উন্নয়নের প্রধান বাধা। সবাই মিলেই পরিকল্পনাটা নিতে হবে। ঠিকভাবে পা রাখলে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে না। সব সংস্থা মিলে এক যোগে কাজ করতে হবে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে সুন্দরভাবে সমন্বয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করা যাবে না। কোনো একজন প্রতিনিধি পাঠিয়ে দিয়ে দায় সারলে হবে না। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। মেট্রোরেল নগরে বাস্তবায়ন হওয়ার পরে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত করার পরিকল্পনা নিতে হবে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম নিয়ে চিন্তা করতে হবে। চিন্তা করতে হবে দীর্ঘমেয়াদি।  

>> নদীর ওপারেও মেট্রোরেল নেওয়ার পরিকল্পনা করা উচিত: তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।