চট্টগ্রাম: ফাগুন হাওয়ায় করেছি যে দান, দিগন্তে ঐ ফুলের আগুন লাগলো বসন্তে সৌরভে সেথা জাগলো- এমনি নানা গান, নাচ, আবৃত্তি, ঢোলবাদন, কথামালা, শোভাযাত্রা, যন্ত্রসংগীতসহ নানা আয়োজনে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করেছে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম।
নগরীর পাহাড়তলী আমবাগান রেলওয়ে জাদুঘর সংলগ্ন শেখ রাসেল পার্কে সোমবার (১ ফাল্গুন) বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে বোধন আবৃত্তি পরিষদ।
এরপর বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি সোহেল আনোয়ারের একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন। এ আবহে রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী কেশব জিপসী একক গানে বসন্তের চিরচেনা রূপ ধরা দেয় সংগীতভবন, সুরপঞ্চম, ধ্রুপদ সংগীত নিকেতনের দলীয় সংগীত পরিবেশনায়। বসন্তের হাওয়ায় দলীয় নৃত্যে অংশ নেন নৃত্যরূপ একাডেমি, মাধুরী ডান্স একাডেমি, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ, এবি নৃত্যাঙ্গনের শিল্পীরা। এরপর নানান ভাব-বন্ধনের গাঢ়তায় একক গানে অংশ নেন শিল্পী কাবেরী সেনগুপ্ত, কান্তা দে, শুভাগত চৌধুরী, হাসান জাহাঙ্গীর, শ্যামলী পাল, মাহবুবুর রহমান সাগর, প্রিয়া ভৌমিক, সুব্রত ধর, ইমন শীল।
কথামালার অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের ভারতীয় হাই কমিশনারের শুভেচ্ছা দূত জিএস. যোশী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক বেনু কুমার দে, অধ্যাপক ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, লায়ন বাসুদেব সিংহ, আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান, নাট্যজন সুচরিত চৌধুরী টিংকু, সৈয়দ জাভেদ হোসেন, সাংবাদিক আলমগীর সবুজ, সাংবাদিক প্রণব বল, সাজ্জাদ কাশেম রেজা ও বোধনের সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা সুবর্ণা চৌধুরী। বসন্ত ও ভালোবাসার কবিতা নিয়ে উৎসব অঙ্গন মাতিয়ে রাখেন আবৃত্তিশিল্পী দেবাশীষ রুদ্র, মাহফুজুর রহমান, দিলরুবা খানম, সেলিম রেজা সাগর।
পুরো আয়োজনে কখনো সমবেত সংগীত, কখনো একক গানের পাশাপাশি পুরো অনুষ্ঠান প্রাণময় হয়ে ওঠে বোধনের সদস্যদের রংখেলায়। এতে বাড়তি রসদ জুগিয়ে দেয় দীপক দাশের নেতৃত্বে ঢোলবাদকেরা। সবশেষ বসন্তবরণ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে বোধনের ১৭তম বসন্ত উৎসবের।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন গৌতম চৌধুরী, সঞ্জয় পাল, মৃন্ময় বিশ্বাস, অনুপম শীল, বিপ্লব কুমার শীল, সাজ্জাদ হোসেন, শুভাগত বড়ুয়া, ঈশা দে, অর্পিতা চৌধুরী, শ্রাবণী বণিক, দীপিকা চৌধুরী, পুষ্পিতা বিশ্বাস, কান্তা বন্দ্য, সুচয়ন সেনগুপ্ত, ঊর্মি দেবী।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
এআর/টিসি