ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শ্রদ্ধার ফুলে ভাষা শহীদদের স্মরণ চট্টগ্রামে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
শ্রদ্ধার ফুলে ভাষা শহীদদের স্মরণ চট্টগ্রামে ভাষা শহীদদের স্মরণ চট্টগ্রামে। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য পাকিস্তানি শাসকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, ফুলেল শ্রদ্ধায় তাদের স্মরণ করেছেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মানুষ।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে নগরের মিউনিসিপ্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে নির্মিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা প্রথম জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

 

মেয়রের পরেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক। পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা, ট্যুরিস্ট পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, রেলওয়ে পুলিশ, চট্টগ্রাম জেলা আনসার কমান্ডার, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম কারাগার, পরিবেশ অধিদফতর, পরিচালক -স্বাস্থ্য,  মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছোঁয়ার আগেই হাজারও মানুষ হাতে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে যান শহীদ মিনার অভিমুখী লাইনে। বিশিষ্টজনদের শ্রদ্ধা জানানোর পর উন্মুক্ত হয় শহীদ মিনার।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৫ জন প্রতিনিধি হিসেবে ও ব্যক্তিপর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। এছাড়া মাস্ক পরা ছাড়া কাউকে শহীদ মিনার চত্বরে প্রবেশ না করতে বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।  আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য নিরাপত্তার ঘাটতি নেই। ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ডিবি, র‌্যাব, সোয়াটের টিম, ডগ স্কোয়াড ও ক্রাইম সিন ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে।  

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিলে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সালাম, রফিক, বরকত, শফিউরসহ নাম না জানা অনেকে।

এরপর বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেয় তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।