ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মৃত্যুদণ্ডের পলাতক আসামি ৬ বছর পর ধরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
মৃত্যুদণ্ডের পলাতক আসামি ৬ বছর পর ধরা ...

চট্টগ্রাম: নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার মামলায় ৬ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. ইসহাককে (২৭) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি হাটহাজারী থানার ফটিকা এলাকার মো. কামাল হোসেনের ছেলে।

  

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বায়েজিদ বোস্তামি থানার রৌফাবাদের বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটিতে ২০১৬ সালের ৫ মার্চ প্রবাসীর স্ত্রী পারভিন আক্তারের বাসায় রাতে ঢুকে ৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি।

আলমিরার চাবি দিতে বললে পারভিন আক্তার চাবি না দিয়ে চিৎকার করার চেষ্টা করলে আসামিরা তখন পারভিনকে মুখ চেপে ধরে। খাটিয়া থেকে ফ্লোরে ফেলে দেয় এবং তার হাত, পা শাড়ির কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখে এবং আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এবং পরিকল্পিতভাবে পারভিন আক্তারকে তার শাড়ি খুলে গলায় ফাঁস ও মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। বাসা থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল, ট্যাব এবং নগদ টাকা নিয়ে চলে যায়। পরে পারভিনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পারভিন আক্তারের স্বামী মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

গ্রেফতার আসামি ইয়াসিন, মনসুর ও আবু তৈয়ব প্রকাশ রানার উপস্থিতিতে পলাতক ইসহাকসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। রায় ঘোষণার পর থেকে আসামি মো. ইসহাক কৌশলে বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ ৬ বছর আত্মগোপন করে থাকে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. ইসহাক রাউজান থানার সুলতানপুর এলাকায় অবস্থান করছে জানতে পারি। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬ টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ইসহাক স্বীকার করে, সে পারভিন আক্তার হত্যার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।