ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পণ্যের দাম বাড়ে, বেতন বাড়ে না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
পণ্যের দাম বাড়ে, বেতন বাড়ে না ...

চট্টগ্রাম: নিত্যপণ্যের বাজারে প্রায় সব জিনিসের বাড়তি দাম নিম্ন আয়ের মানুষকে বেশ বেকায়দায় ফেলেছে। চাল, সয়াবিন তেল, চিনি, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মিলছে না।  

অন্যদিকে, প্রবাসীরা করোনার কারণে দেশে আগের মতো টাকা পাঠাতে পারছে না।

যার কারণে প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভর পরিবারেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়ছে।  

চকবাজারে কথা হয় প্রবাসীর স্ত্রী হোসনে আরার সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে অনেক হিসাব করে চলতে হচ্ছে। আগে যখন যেটা ইচ্ছা, সেটা বাজার থেকে নিয়ে গেছি। এখন বাজার করার জন্য পরিকল্পনা করে আসতে হয়। সবকিছুই হিসাব করে নিয়ে যাই। প্রবাসে স্বামীর আয়ে ভাটা পড়েছে।  

লিটন নামে আরেক বেসরকারি চাকরিজীবী বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, কিন্তু বেতন বাড়ে না। নির্দিষ্ট বেতন, সারা মাস হিসেব করে চলতে হয়। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা জরুরি। দোকানদার ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছে, একেক দোকানে একেক দাম।  

দোকানদাররা বলছেন, পাইকাররা দাম বাড়ালে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়াতে হয়। পাইকারিতে বাড়ে কেন, তা জানা নেই।  

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)  চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী বাংলানিউজকে বলেন, শুধু নিম্ন আয়ের নয়, নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের কষ্ট আরও বেশি বেড়েছে। চাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বাড়ছে। এটাকে এক কথায় বলা যায়, মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। সামনে রমজান, রমজানে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয় একটি চক্র। সরকারের উচিত, এখন থেকে বাজার মনিটরিং করা। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা করতে হবে।  

নগরীর চকবাজার ও কাজির দেউরি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের মৌসুমে সবজির দাম সাধারণত কম থাকে। কিন্তু এবার ছিল তার ব্যতিক্রম। ফুলকপি কেজি ৪৫-৫০ টাকা আর বড় আকারের ফুলকপির দাম ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৩৫ টাকা, শিম প্রতিকেজি ৫০-৫৫ টাকা, বেগুন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা , করলা ৭০, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা, বরবটি ৭৫-৮৫ টাকা। খিরা ৪৫-৫০, পেঁপে ৩০, গাজর ৪০, টমেটো ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, মূলা ১৫ থেকে ২৫ টাকা আর আলু বিক্রি হচ্ছে ১৩ থেকে ১৮ টাকায়।  

এককেজি ওজন বা মাঝারি আকারের পাঙ্গাশ ১৫০ টাকা আর বড় পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৯০ টাকায়। রুই-কাতলা মাছ আকারভেদে ২৫০-৩৫০ টাকা, শিং, মাগুর ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, আইড় মাছ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। চাষের কই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২২০ থেকে ৩০০ টাকায়, তেলাপিয়া কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২৫০ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি চিংড়ি আকারভেদে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি, ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি। বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ডিমের দাম। গত সপ্তাহে ১১০ টাকায় এক ডজন ফার্মের মুরগির ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৮-১২০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায় আর খাসির মাংসের কেজি ৯০০ টাকা।  পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
এমআই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।