ঢাকা, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দ্রব্যমূল্য নিয়ে দিশেহারা মানুষ: মির্জা আব্বাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
দ্রব্যমূল্য নিয়ে দিশেহারা মানুষ: মির্জা আব্বাস বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস

চট্টগ্রাম: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই তাদের নেতাকর্মীরা লুটপাট করেছে, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। ১৯৭৩-৭৪ সালে তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল।

গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলায় ৩৫ হাজার নেতাকর্মীকে খুন করেছিল।  

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির উদ্যোগে নগরের পলোগ্রাউন্ড স্কুল সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মির্জা আব্বাস বলেন, বাংলাদেশ আজ অদ্ভুত এক দেশে পরিণত হয়েছে। এখানে ৪০ টাকা ডিমের হালি, তেলের দাম ১৮০ টাকা, ১২৬০ টাকা গ্যাসের চুলা, ৭০ টাকা চাল, ১২০ টাকা ডাল। সবকিছুর দাম বেড়েছে, শুধু বাড়েনি মানুষের দাম। একদিকে মানুষ দ্রব্যমূল্য নিয়ে দিশেহারা আর সরকারের নেতা, পাতি-নেতারা ব্যস্ত লুটপাটে। মফস্বলের ছাত্রলীগ নেতার অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায় দুই হাজার কোটি টাকা।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমবে না। তাই বিএনপির নেতৃত্বে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এই অবৈধ সরকারের নির্বাচন কমিশনকে দেশের জনগণ মানে না। তারাও ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো নির্বাচন করবে। কিন্তু সে নির্বাচন আর হতে দেওয়া হবে না।  

সভাপতির বক্তব্যে নগর বিএনপি'র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকারের অনুগত লোক দিয়েই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এটা আরেকটি হুদা কমিশন। নতুন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা সরকারের পছন্দের লোক। তারা সবাই সরকারের অনুগত, সুবিধাভোগী ও তোষামোদকারী।  

নগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। দুর্নীতির কারণে এখন এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে, প্রতিটি ক্ষেত্রে ২০-২৮ শতাংশ জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। বাজারের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট তৈরি করা হয়েছে। তারা কৃত্রিমভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। কোথাও কোনো জবাবদিহি নেই। চরম দুর্নীতির প্রভাব বাজারে গিয়ে পড়ছে। লাগামহীনভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় জনগণকে তার মাশুল দিতে হচ্ছে।  

নগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দীন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনজুরুল আলম প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।